মোঃ আফজাল হোসেন ।। নিন্মচাপের ফলে ভোলায় বৃস্টি হচ্ছে। সেই সাথে থেমে থেমে ঝড়ো বাতাসের ফলে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। ঝুকিতে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ।
গত ২/৩দিন ধরেই ভোলায় থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস আর বৃস্টি হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক চলাচল হচ্ছে চরম ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। মেঘনা নদী রয়েছে প্রচন্ড উত্তাল। ফলে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছে না। তার মাঝেও ২/১টি নৌকা দেখা যায় ঝুকি নিয়ে নদীতে যাচ্ছে মাছ ধরতে। উত্তাল মেঘনা থাকায় মনপুরায় নদীর পাড়ে থাকা অবস্থায় নৌকা ডুবির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গত নিন্মচাপের সময় মেঘনার পানি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর দিয়ে লোকায় ঢুকে পড়েছিলো। যে কারনে এবার আতংকে দেখা দিয়েছে সধারন মানুষের মাঝে। মনপুরায় মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মান করায় সেখানকার মানুষ রয়েছে চরম আতংকে।
মনপুরার মাছ ব্যবসায়ী মো: ফিরোজ আলম জানান,অতিজোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিন্মাঞ্চলগুলো। পানিবন্দী হয়ে পড়ে এসব এলাকার শত শত মানুষ। এছাড়া মেঘনা নদীর তোরে ডুবে গেছে জেলে নৌকা। আতংকিত সময় কাটছে। এছাড়া উপজেলার তুলাতলী নামক স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটি মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে করায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুকিতে আছি আমরা। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পাড়ে।
এছাড়া ঢালচরের ফরাজী আলম বলেন,আমরা আতংকে আছি। বন্যা নিয়ন্ত্রন কোন বাঁধ না থাকায় আতংকে একটু বেশি। নদী প্রচন্ড উত্তাল থাকায় নদীতে জেলেরা মাছ ধরতে যেতে পারছে না।
এসব বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান,তারা আগামী অমাবস্যর জোকে কেন্দ্র করে প্রস্ততি নিচ্ছে। নিন্মচাপে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন না। মনপুরার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কাজ ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকায় কাজ করবেন বলে জানান তিনি।