মো: আফজাল হোসেন ॥ মৌসুমী নিন্মচাপের ফলে ভোলায় ঝড়ো বাতাস আর বৃস্টি হচ্ছে। সেই সাথে মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। নদীর ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ্য ইলিশার অন্তত ২০টি দোকান। ব্যাহত ফেরি ও লঞ্চ চলাচলে।
গত দু’দিন ধরেই মৌসুমী নিন্মচাপ রয়েছে। এর ফলে ভোলার উপর বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো বাতাস আর বৃস্টিপাত। উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। নদীর পানি স্বাভাবিক এর চেয়ে ৫থেকে ৬ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোলার ইলিশা অংশের ফেরির গ্যাংয়ে প্লাবিত হয়ে ভোলা-লক্ষিপুর রুটের ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গাড়ী উঠানামা করতে না পারায় পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন।
এদিকে এই রুট দিয়ে ঢাকা ও লক্ষিপুর গামী লঞ্চ যাত্রীরা পরেছে চরম বিপাকে। পন্টুনের সিড়ি আর রাস্তা প্লাবিত হলে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাতে উঠানামা করতে হয়েছে তাদের। পানিতে ভিজে একাকার হয়ে গেছেন তারা। কারো আবার মালামাল পড়ে গেছে নদীতে। অনেক লঞ্চ ঘাট দিতে পারেওনি। আতংকিত হয়ে পড়ে যাত্রীরা।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। এমভি ফারহান লঞ্চে রাতে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে আসা মো: রুহুল আমিন বলেন,আমরা বুঝতে পারিনি যে নদীর অবস্থা এতটা খারাপ। আমাদেরকে কিছুই বলা হয়নি। মাঝ নদীতে আশার পর লঞ্চে থাকা নিয়ে কস্ট হয়ে গিয়েছে। বহু যাত্রীরা বমি করে কান্নাকাটি করেছে। অপর এক যাত্রী নাছিমা বলেন,লঞ্চে উঠার পর যখন লাইট জালাতে বলি তখন লঞ্চের স্টাফরা বলে তাদের জেনারেটর খারাপ। তারা উত্তাল মেঘনা নদী এই সিগনালের মধ্যে ছেড়ে এসেছে অথচ লঞ্চের কোন লাইট জ্বলেনি। এমনকি লঞ্চের সার্চলাইট পর্যন্ত ছিলো বন্ধ। অন্ধকারে ঝকিনিয়ে এসেছি। আল্লাহ রহমত করেছে,না হলে মাঝনদীতে ডুবে যেতাম।
এসব বিষয় লঞ্চের স্টাফদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি কারন,তারা যাত্রী নামিয়ে দিয়েই দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে লঞ্চ।
অপরদিকে পানির ঢেউয়ের আঘাতে ইলিশা ফেরি ও লঞ্চঘাট এলাকার অন্তত ২০টি দোকান ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষিত হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ্যরা অভিযোগ করেছেন।