শান্তি আলোচনার মধ্যে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতশাসিত লাদাখ অঞ্চলে। সীমান্তে চীন-ভারত সংঘাতে মারা গেলেন ভারতের এক কর্নেল ও ২ জন সৈনিক। সোমবার রাতের দিকে চীনা সেনাবাহিনীর হামলায় এই ঘটনা ঘটে। ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ানইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এই মুহূর্তে সীমান্তে দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলছে।
গত একমাস ধরে চলছে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শুরু হয় দুই দেশের আলোচনা। আলোচনা যখন দ্বিতীয় দফায় ঠিক তখনই ফের এলএসি বরাবর সেনা তৎপরতা শুরু করে চীন। প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করেছে বেইজিং।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গালওয়ান এলাকা থেকে প্রায় ২.৫ কিমি পিছু হটে চীনের পিপল লিবারেশন আর্মির সেনা দল। ভারতও তাদের সেনাকে সরিয়ে নিয়েছে। তবে সেনা সরালেও এখনও লাদাখের খুব কাছেই ট্যাঙ্কসহ চীনের ১০ হাজার সেনা উপস্থিত রয়েছে। তবে বেইজিংকে তাদের সেনা পুরোপুরি সরাতে হবে বলে কড়া বার্তা দেয় দিল্লি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক খবরে বলা হয়, ৪৫ বছর পর এই প্রথমবার ইন্দো-চীন সীমান্তে ঝরল প্রাণ। গতকাল মধ্যরাতে গালওয়ান উপত্যকায় দ্দুই দেশের লড়াইয়ে এক উচ্চপদস্ত অফিসার এবং দুই সেনাকে হারাল ভারত।
ভারতীয় সেনার পক্ষে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন দু-পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং হতাহতের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দুই দেশের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা বৈঠকে বসেছেন।