ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেটঃ ভরপেট খেয়েও পরক্ষণেই কিছু একটা বিশেষ খাবার খেতে ইচ্ছে হয়? চোখের খিদে হিসেবে ব্যাপারটা হালকাভাবে নেন অনেকেই। তারপর আবার খেয়েও ফেলেন! আসলে শরীরে কোনো বিশেষ ভিটামিনের অভাব দেখা দিলেই বিশেষ স্বাদ চায় জিভ।
বুঝতেই পারছেন, সমস্যা গভীর! তবে একটু নজর দিলেই কিন্তু সমাধান সম্ভব।
মিষ্টি
শরীরে ভিটামিন বি-১২ বা প্রোটিনের ঘাটতি হলে মিষ্টি দেখলেই খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে। প্রতিদিনের ডায়েটে টাটকা ফল, সবজি, দারচিনি রাখলে মিষ্টির খাই খাই কেটে যাবে।
চা, কফি
দেহে সালফারের ঘাটতি হলে চা-কফির নেশা বাড়ে। পেঁয়াজ, রসুন, বাঁধাকপি ডায়েটে রাখলে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
চিজ
অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি হলে চিজ দেখলেই খেতে ইচ্ছে হয়। ডায়েটে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার যেমন ফ্লাক্সসিড অয়েল, বাদাম তেল বা আখরোটের মতো খাবার রাখলে সমস্যা মিটবে।
পাস্তা, পেস্ট্রি
শরীরে প্রয়োজনীয় ট্রেস এলিমেন্ট ক্রোমিয়ামের ঘাটতি হলে পাস্তা বা পেস্ট্রির মতো খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছে হয়।আঙুর, আপেল, পেঁয়াজ, টমেটো, দারচিনি বেশি করে খেলে ঘাটতি সামাল দেওয়া সম্ভব।
পাউরুটি বা টোস্ট
দেহে নাইট্রোজেনের ঘাটতির জন্য পাউরুটি বা টোস্ট খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। ডায়েটে যত বেশি পরিমাণে সম্ভব প্রোটিন, সবুজ শাকসবজি, ফল, বাদাম রাখলে ঘাটতি মেটানো সম্ভব।
পপকর্ন
অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থাকলে অনেকে বেশি করে পপকর্ন খান। বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
চকোলেট
দেহে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি থাকলে চকোলেট খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। দানাশস্য, কোকো পাউডার, বাদাম খেলে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মেটানো সম্ভব।
সোডা
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে সোডা খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে।তিল, ব্রকোলি, সর্ষে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির পরিপূরক।
নোনতা খাবার
দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, ডিহাইড্রেশনের কারণে নোনতা খাবার বা নুন খেতে ইচ্ছে হয়। ডায়েটে আদা, রসুন, গোলমরিচ, লেবু, ভিনিগার রাখলে সমস্যা মিটবে।