ইয়ামিন হোসেন/ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেটঃ দেশের উত্তর পশ্চিমা লীয় ১৫টি জেলার সাথে ভোলার যাতায়াত। আর এই যাতায়াতে ব্যবস্থা হল ইলিশা ফেরিঘাট, প্রতিনিয়ত কয়েকশ মাল বাহি ট্রাক যাতায়াত করে। আর এদেরকে জিম্মি করে ইলিশা ফেরিঘাটের কিছু দালাল চক্র চাঁদাবাজিতে মেতে উঠে। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও চাদাবাজ চক্র ছিল সক্রিয়। কিন্তু গত ২৬ই ডিসেম্বর হঠাৎ বানিজ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ ইলিশা ফেরিঘাট পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদাবাজী চলছে বলে অভিযোগ পান। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদেরকে ইলিশা ঘাটে যাতে কোন চাঁদাবাজী না হয় সে জন্য কঠোর হুশিয়ারি দেন। এর পর থেকেই ড্রাইভারদের মাঝে পেয়েছে শান্তি, বন্ধ হয়েছে চাঁদাবাজি। এদিকে চাঁদাবাজী বন্ধ হওয়ায় ট্রাকের ড্রাইভারেরা ও স্থানীয়রা অভিনন্দন জানিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল বানিজ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ কে। তারা জানান, মন্ত্রী মহোদয় যে নির্দেশ দিয়েছে এটা এই ঘাটের জন্য দৃষ্টান্ত, আমরা বিভিন্ন জেলার লোক, এই ঘাটের চাঁদাবাজি হলে ভোলারই বদনাম হতো, কিন্তু মন্ত্রী মহোদয় এর নির্দেশে সারা দেশে এটি প্রশংসিত। কিন্তু এখনো একটি মহল রাতের আধারে চাঁদাবাজীর জন্য চেস্টা চালাচ্ছে। এ জন্যও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে জানান ড্রাইভারেরা। ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়া জানান মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আমাদের মূল লক্ষ ইলিশা ইউনিয়নকে চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস, মাদক, বাল্য বিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন গড়া। আমি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে সেভাবে কাজ করছি। ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোক্তার হোসেন জানান, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমি ইলিশা ফেরিঘাটে সরকারি নিয়ম ব্যতিত কোন চাঁদাবাজী করতে দেব না। ইতিমধ্যে মন্ত্রীর নির্দেশে সকল চাঁদাবাজী বন্ধ করে দিয়েছি।