ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো,সিএমএসডি) অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আজকে আমরা বলতে পারি করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে সংক্রমণের হার সাড়ে ৭ শতাংশ, যা ৩৩ শতাংশ হয়েছিল।আজকে মৃত্যু দেখলাম ৪১, যা ২৭০ এ উঠেছিল। করোনায় আমরা অনেককে হারিয়েছি।বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কমবেশি করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এমনিতেই নিয়ন্ত্রণ হয় না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়। করোনাকালে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়েছে। একটি ল্যাব থেকে বর্তমানে ৮০০ ল্যাব হয়েছে। প্রতিদিন ১০০টির মতো করোনা টেস্ট হতো। সেখানে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৩০ হাজার টেস্ট করা হচ্ছে। করোনা রোগীর জন্য ১৭ হাজার আলাদা বেড রাখতে হয়েছে। ২০০ টি আইসিইউ থেকে ১৩০০ আইসিইউ তে উন্নিত করা হয়েছে। আরও হাজারখানেক কোভিড আইসিও তৈরি করা হয়েছে। আমাদের ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করতে হয়েছে। এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করায় সারাদেশ থেকে আসা রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব হয়েছে। নতুবা এখানে একটি কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। প্রতিটা বড় হাসপাতালে বর্তমানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা রোগীর পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের সেবা আমাদের দিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন আমরা হাসপাতালে দুই থেকে তিনশ ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও আমাদের করতে হয়েছে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য আমাদের আলাদা হাসপাতালে ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের অনেক নিয়োগের দিতে হয়েছে। চার হাজার চিকিৎসক ও আট হাজার নার্স নিয়োগের অপেক্ষায় আছে। আরও অনেক টেকনোলজিস্ট নিয়োগের অপেক্ষায় আছে।
বক্তব্যের শুরুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভারতের সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ায় সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আলোচনা শেষে অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান উপস্তিত ছিলেন।