মো: আফজাল হোসেন।। বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গত বিএনপি আমলের অত্যাচার নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন,আবারো যদি বিএনপি সুযোগ পায় কি কঠিন অবস্থা হবে আপনারা কি ভাবতে পারেন। সুতারাং প্রত্যেকটা ঘরকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিনত করবেন।
গতকাল দুপুরে ভোলা সরকারী স্কুল মাঠে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারেফ হোসেন এর সভাপতিত্বের সমাবেশে মন্ত্রী আরো বলেন,বিএনপি যত কথা বলুক নির্বাচনে আশা ছাড়া কোন বিকল্প নাই। যত সর্তদেক। আমাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তারা চায় একটা উপদেস্টা মন্ডলী সরকার। যেটা সংবিধানে নাই। সংসদ বিলুপ্ত হোক,যেটা সংবিধানে নাই। সুতারাং তারা জনসভা করতে পারবে। সুনিস্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হবে না।
এছাড়া তিনি ভোলার কথা তুলে ধরে বলেন,ভোলায় কোন গ্রেফতার নেই। পুলিশের গায়ে বোমা মেরেছে তাই ঐসব মামলায় আটক করা হয়েছে। এছাড়া তাদের নিজেদের মাঝে গন্ডগোল থাকলে সেসব মামলায় পুলিশ আটক করতে পারে,তবে অন্যকোন কারনে কোন গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া মন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে একটি সরকারকে একাধিকবার ক্ষমতায় থাকা দরকার। তাই তিনি বলেন,আমি যদি মনোনয়ন পাই তা হলে আমার মার্কা হবে নৌকা। আপনারা সকলেই নৌকা মার্কাায় ভোট দিবেন।
এর আগে সকাল থেকেই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন যানবাহনে করে এবং মিছিলসহকারে সরকারী স্কুল মাঠে আসেন। এসময় তারা তোফায়লে আহমেদ এবং নৌকা মার্কা বলে স্লোগান দেন। তবে মন্ত্রীর বক্তব্যর আগে একটি উন্নয়নমুলক ডকুমেন্টরী তুলে ধরা হয়,যাতে বানিজ্যমন্ত্রী এবং ভোলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ আর গত বিএনপি আমলেল কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়। সমাবেশে আরো বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন স¤পাদক আব্দুল মমিন টুলু।
এছাড়া আরো বক্তব্য দেন এবং উপস্থিত ছিলেন,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন স¤পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার,জেলা যুবলীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান মনির,জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব এর উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রচার সম্পাদক ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আশা দলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন।পরে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আশা অন্তত ১৫হাজারের অধিক দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরন আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুখৃংলভাবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশ শেষ হয়। সমাবেশকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রান চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়,এই সমাবেশে এই প্রথমবারের মত অন্তত কয়েক হাজার নারী কর্মীদের উপস্থিতি ছিলো নজরে পড়ারমত।