গত ১৮ মে ২০২০ ইং তারিখে ভোলা নিউজ ডক কম সহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে “ভোলায় হত্যা মামলার বাদিকে হুমকি থানায় জিডি ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।সংবাদটি সম্পুর্ণ বানোয়াট,মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাই সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
আমাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট সংবাদ দাতাকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য প্রদান করে সংবাদটি প্রকাশ করে।
সংবাদে উল্লেখ্য করা হয়েছে আলোচিত কাঁচা বাজারের হত্যাকৃত মুছার ভাই মোঃ মোস্তফা উল্লেখ্য করেযে একই বাড়ির মৃত আবদুল হকের ছেলে মোঃ কামাল, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ মাইন উদ্দিন, মোঃ হাসান, মোঃ হোসেন এবং মৃত আবদুল লতিফ এর ছেলে মোঃ মাকসুদ, মোঃ ইব্রাহিমের সাথে তার জমি জমা ও মামলা মোকদ্দমা নিয়া বিরোধ চলছে। মোঃ মোস্তফা তার দখলীয় সম্পত্তিতে থাকা ১টি রেইন্ট্রি গাছ ও ১টি রোড চাম্বুল গাছ তার বসত ঘরের উপর হেলে পরায় মোঃ মোস্তফাসহ তার পরিবারের লোকজনদের ক্ষতি হইতে পারে বিধায় বেপারির কাছে গাছ ২টি বিক্রী করে। শনিবার সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় গাছের বেপারি তাহাদের লেবার দ্বারা গাছ ২টি কাটিতে আসিলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বে-আইনি জনতাবদ্ধে মোস্তফার বসত ঘরের সামনে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া বেপারিদেরকে গাছ কাটিতে বাধা দেয়। এসময় মোঃ মোস্তফা উল্ল্যেখিতদেরকে বাধার কারন জিজ্ঞাসা করিলে উল্ল্যেখিতদের সাথে মোস্তফার কথার কাটা কাটি হয়। এক পর্যায় উল্ল্যেখিতরা মোস্তফাকে মারার জন্য আগাইয়া আসে। মোস্তফার ডাক চিৎকারে মোঃ মহসিন, মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার, মোঃ শাহে আলম এবং বাড়ীর অন্যান্য লোকজনসহ আশপাশের লোকজন আগাইয়া এসে মোস্তফাকে রক্ষা করে। লোকজনের উপস্থিতিতে পুনরায় বেপারী গাছ কাটার জন্য আসলে উল্ল্যেখিতরা বাধা দিয়ে হুমকি দেয়যে, মোস্তফাসহ তাহাদেরকে মারধর করিবে। মোস্তফাকে বাড়ী হইতে উৎখাত এবং বাড়ী ঘর ভাংচুরসহ মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করিবে। এমনকি মোস্তফার বড় ভাই মৃত মুসার মত মোস্তফাকেও জবাই করে হত্যা করে লাশ গুম করিয়া ফেলবে বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে মোস্তফা আমাদের সম্পর্কে চাচাতো ভাই সে যে জমির গাছ বিক্রি করে গছের ব্যাপরীর মাধ্যমে কাটাতে চেয়েছিল সেই জমি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ভোলা সদর সিভিল কোর্টে সুলতান আহম্মেদ ও আমাদের করা ইতোমধ্যে দুটি মামলা চলমান আছে যাহার দেং নং- ২৮/২০১৬ ইং ও দেং নং-০১/২০১৭ ইং। এমনকি আমাদের করা মামলায় এখনও কোনো জবাব দিতে পারেনি বিবাদী মোস্তফা গং। মামলা চলমান থাকায় বিষয়টি এখনো অমিমাংসীত তাই আমরা গাছের ব্যাপারী মহসিনকে অবহিত করি যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো সহিংসতা না হতে পারে।
এব্যাপারে আমরা কাউকে কোনো রকম ভয়ভীতি বা প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করিনি। অন্যদিকে কাঁচা বাজারে আলোচিত মুছা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল হত্যাকারী মহসিন ঘটনার কয়েকদিন পরই পুলিশের হাতে আটক হয় এবং সে নিজে তৎকালীন ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন এর কার্যালয়ে সকল প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক ভাইদের সম্মুখে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে মহসিন মুছা হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন। আমাদের সাথে জমিজমা বিরোধ থাকায় সমাজে আমাদের হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানি করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মোস্তফা বাদী হয়ে আমাদেরসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করে ভোলা সদর কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যা এখন বরিশাল পিবিআই কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।
আমাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ভাইদের ভুল বুজিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য দিয়ে নিউজ প্রকাশ করায় আমরা এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মোঃ কামাল হোসেন
মোঃ আলাউদ্দিন
মোঃ মাইনুদ্দিন
মোঃ হাসান
মোঃ হোসেন
পিং- মৃত আবুল হক
ঠিকানাঃ পশ্চিম চরনোয়াবাদ, ৯ নং ওয়ার্ড বাপ্তা, ভোলা
মোঃ মাকসুদ
মোঃ ইব্রাহীম
পিং- মৃত আবুল লতিফ
ঠিকানাঃ পশ্চিম চরনোয়াবাদ, ৪ নং ওয়ার্ড ভোলা পৌরসভা, ভোলা।