ভোলা নিউজ২৪ডটকম,বিনোদন ডেস্ক।। পেঁয়াজ ব্যবসার কলাকৌশল শিখতে এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে ঢাকায় আসছেন বিশ্বের শীর্ষ দুই ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান আমজান ও আলবাব-এর প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাফল্য দেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমজান-এর মালিক জেফজোস ও আলবাব-এর মালিক জ্যাক চা।
ঢাকার পক্ষ থেকে সদ্য উপহার পাঠানো ঈলিশের ডিম ফুটে বাচ্চা হওয়ার আগেই ব্যবসায়ী দলটির শাহজালালে অবতরণের কথা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের পেঁয়াজের ঝাঁজ সইতে পারার উপযোগী মাস্ক ও চশমা তৈরিতে বিলম্প হওয়ায় সফর পিছিয়ে যেতে পারে বলে রসময়কে (রস সময়) জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে আমজান-এর এক মুখপাত্র রসময়কে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা এই ঝাঁজাল পণ্যটির দাম বাড়িয়ে একযোগে ১৬ কোটি মানুষকে কাঁদাতে পারেন। দরিদ্র মানুষের কষ্টের টাকায় তারা দ্রুত বিপুল সম্পদের মালিক হচ্ছেন। এক রাতের ব্যবধানেও নাকি কোটিপতি হয়ে যান। আমজান-এর মালিক জেফজোস নিজেও বড় লোক হওয়ার এমন অভিনব পদ্ধতি ইতিপূর্বে জানতেন না।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকা থেকে কিছু ঈলিশ রপ্তানি হওয়ার পরই নাকি বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ানোর এই কৌশল শিখতে জেফজোস উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। তবে যে পেঁয়াজ একসঙ্গে ১৬ কোটি মানুষকেই কাঁদিয়ে ছাড়ে সেই পেঁয়াজের ঝাঁজ সইতে পারা নিয়ে জেফজোস শঙ্কিত। এজন্য বিশেষ ধরণের চশমা ও মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই পেঁয়াজ ব্যবসায়ী যে কাঁচামাল দিয়ে তৈরি আমরা সেই কাঁচামাল দিয়ে মাস্ক ও চশমা তৈরি করছি। এজন্য সফর বিলম্বও হতে পারে।’
এদিকে আলবাব-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ এক রাতেই পেঁয়াজের আগুন ধরেছে জানতে পেরে আলবাব-এর মালিক জ্যাক চা ঢাকা সফরের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত বিমান প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের বুদ্ধি আর জনগণের সাথে নিষ্ঠুরতার কৌশল তিনি বুঝতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত। আসলে তাদের দাম বাড়ানোর এমন অদ্ভুত কৌশল আগে কখনো দেখেননি এমনকি শোনেনওনি।’
এদিকে জেফজোস ও জ্যাক চা-কে স্বাগত জানাতে শাহ জালাল বিমানবন্দরকে পেঁয়াজ দিয়ে সাজানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ঢাকার সিন্ডিকেট প্রধান পেঁয়াজরাজ। গোটা বিমানবন্দরকে করোনামুক্ত রাখতে পেঁয়াজের রস দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রধান পেঁয়াজরাজ ‘রসময়’কে জানান, বিমানবন্দর ও আশপাশ এলাকা পেঁয়াজ দিয়ে সাজানো হবে। অতিথিদের যে গাড়িতে বহন করা হবে তার চাকাও তৈরি করা হয়েছে পেঁয়াজ দিয়ে।
এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে দামি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হিসেবে বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের নাম গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তালিকাভুক্ত করতে প্রতিষ্ঠানটির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পেঁয়াজরাজ। গিনেজ ওয়ার্ল্ডে নাম ওঠা মাত্রই রসময়কে সবার আগে জানাবেন তিনি। রসময় খবর পাওয়া মাত্রই পাঠকের উদ্দেশে সংবাদটি প্রকাশ করবে।