ভোলা নিউজ২৪ডটকম ।। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সাধারণত যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, দেশের পুলিশ বাহিনীকে তাদের দিক নির্দেশনায় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু বরাবরই দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের এক ধরনের দুর্বলতা আছে। পুলিশ প্রশাসন কঠোর হলে আওয়ামী লীগের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যেত।
শনিবার (২০ আগস্ট) নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ের মাল্টিপারপাস ড্রিল শেডে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হতো আমার বাড়িতে। ঢাকা থেকে বড় নেতা কর্মীরা সেসময়ে আমার বাবার সঙ্গে আলোচনা করতে চট্টগ্রামে আসতেন। আমরা ছিলাম মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। যার কারণে পুলিশের আচরণ ছিল আমাদের প্রতি অনেক নমনীয়।
আরও পড়ুন: সেই রাতে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন শিক্ষিকা খাইরুন
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক থাকলেও তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের শেল্টার দেয়া বা সহযোগিতা করার প্রবণতা বেশি বলেই আমি দেখেছি। পুলিশ প্রশাসন যদি কঠিন হতো কিংবা আরও মারমুখী হতো তাহলে আওয়ামী লীগের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যেত। টিকে থাকতে আওয়ামী লীগকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হতো।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, দুঃসময়ে আপনারা প্রমাণ করেছেন। বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য ছিলেন, কিন্তু আমরা সব সময় খেয়াল করেছি যে আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের সবারই দুর্বলতা কাজ করেছে। পুলিশ আমাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে।
আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাতে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী প্রজন্ম জাতির পিতাকে অন্তরে ধারণ করে চলবে। কারণ তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানছে।অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব এম এ মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিনসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।