আদিল হোসেন তপু॥ ভোলার ২২ লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য ভরসার জায়গা ভোলা সদর হাসপাতাল। স্বল্প খরচে ভালো চিকিৎসা পাওয়ার আশায় দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে ছুটে আশে চিকিৎসা পাওয়ার আশায়। ডাক্তার সংকট, নার্স সংকট, বেড সংকট, ভর্তি রোগীদের বিছানা সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জড়িত ভোলা সদর হাসপাতাল। তার উপর নতুন করে যোগ হয়েছে দালালদের দৌড়াতœ্য। এই দালালরা ভোলা শহরের বিভিন্ন ডায়াগনেস্টিক ক্লিনিকের ছত্রছায়ায় থেকে রোগীদের বাগিয়ে নিয়ে যেতো বিভিন্ন ক্লিনিকে। এই হাসপাতালের দালাল গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর হাসপাতাল যেনো রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শহরের দুটি ক্লিনিকের দালালদের মধ্যে রোগী বাগিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হাসপাতালে বেডে ভর্তি রোগীদের সামনে দুই গ্রুপ দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ করে। এতে রোগীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৬ জন আহত হয়। আহতরা হলেন রবিন, কাশেম, আলিফ, হাছান, সাকিব, সফি। পরে ঘটনা হাসপাতাল স্থলে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রন নেয়। এসময় পুলিশ সন্দেহ বাজান ৩জনকে আটক করে। পড়ে ছেড়ে দেয়।
জানা যায় যে, ভোলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন চারশ থেকে ৫শ রোগী আসে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য। এই রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা, টেস্ট, নিজেদের প্রাইভেট ক্লিনিকে ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য দালালদের কয়েকটি গ্রুপ অপতৎপরতা চালায় হাসপাতালে। রোগীদের কম খরচে টেস্ট এক্সরে করে দেয়ার কথা বলে দালালরা তাদের ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এ চক্রের সঙ্গে হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারী ও নার্সের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে। আর এ কারণেই আইনশৃংখলা বাহিনী অভিযান চালিয়েও দমাতে পারছে না দালাল চক্রকে।