ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট॥ জামায়াতের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। আজ দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপুর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীর প্রতিক, শরীফ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিশ্বব্যাপি সমাদ্রিত, আলোচিত ও প্রশংসা অর্জন করেছেন ঠিক তখনই জামায়াত হরতাল ডেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। আর বিএনপি এতে সমর্থ দিয়ে দেশের বর্তমান পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
তিনি বলেন, আজকে সরকার যখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে সেইফ জোনে নেওয়ার কথা ভাবছে ঠিক সেই মূহুর্তে বিএনপি তার বিরোধিতা করছে। এর কারণ বিএনপি এই রোহিঙ্গাদের দিয়ে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়াতে চায়, তাদের জেঙ্গি বানাতে চায়। কিন্তু বায়লাদেশের মানুষ তাদের এ অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ডাকা হরতালে মানুষ সাড়া দেয়নি। কখনো দেবেও না। একটি মুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকা অবস্থায় দেশকে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন লন্ডনে বসে মা-পুতে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র করছে। তারা হুকুম দিয়ে জামায়াত-শিবিরকে মাঠে নামিয়ে অরাজক পরিস্থিত সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ খালেদার ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে আসুন। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাকে সহযোগীতা করুন। আপনাদের আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানো গন্ধ এখনো দেশবাসী ভুলে যায়নি। সন্তান হারানো শোকের অনেক মায়ের চোখের পানি আজও মুছে যায়নি। তাদের কাছে যান, অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। আগামী ২০১৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ভোট হবে। সেই ভোটে অংশ নিন। এবার নির্বাচনে না আসলে বিএনপি-বিলীন পার্টিতে রুপান্তিত হবে।
মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি সেটা অনুধাবন করেছেন যে আওয়ামী লীগ মেসির মত খেলছে। মেসি নিংসন্দেহে ভাল খেলোয়ার, একদিন আগের মেসি টানা তিনটি গোল করে হেট টিক করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারও টানা তিন বার ক্ষমতায় গিয়ে হেটট্রিক করবে। এটা যে তিনি অনুধাবন করেছেন এর জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবকে আবারো ধন্যবাদ জানাই।
সংগঠনের মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেন, বাংলার মাটিতে জামায়াত শিবিরের স্থান হবে না। মুক্তিযোদ্ধারা শেখ হাসিনার সাথে আছে। মুক্তিযোদ্ধারা আসন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন একটি স্বার্থনেশী মহল প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচনের নামে টাকা রুজি করতে চায়। এরা আওয়ামী লীগের জন্য বিএনপি জামায়াত শাসনামলে কিছুই করে নাই। ওয়ান ইলেভেনের সময়ে নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে মাঠে ছিল না। তারা আজ জামায়াতের ডাকা হরতালেও মাঠে নাই। সুবিধাদের মুখোশ উম্মেচিত করা হবে।