আদিল হোসেন তপু।।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে একাধিকবার সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তা তারা প্রত্যাখান করেছে। এখন তারা আবার সংলাপ চায়। মন্ত্রী বলেন, খুনিদের সাথে সংলাপের কোন প্রশ্নই উঠে না।
ভোলা সরকারী কলেজের ৪টি একাডেমীক ভবন উদ্বোধন শেষে জাতীয় শোক দিবসের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুুসারে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না এসে যে ভুল করেছে। আবার যদি সে ভুল করে তাহলে সেটি হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার সামিল হবে এবং অস্তিত্ব সংকটে পরবে।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্থানীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, করেছে খুনি মোস্তাক-জিয়া। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যদি না জন্মাতেন তবে এই দেশ স্বাধীন হতোনা। তিনি জীবনের ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাবরন করেছেন। পাকিস্থানীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, কিন্তু করেছে খুনি মোস্তাক-জিয়া।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান তাদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়েছে। জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া খুনিদের জাতীয় সংসদের সদস্য করেছে। আর স্বাধীনতা বিরোধী নিজামী, মুজাহিদদের গাড়িতে তুলে দিয়েছে পতাকা।
তোফায়েল আরো বলেন, কিছুদিন আগে নিস্পাপ ছাত্ররা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করেছিলো। আমি ব্যাক্তিগতভাবেও তাদের সমর্থন করেছি। সেই ছাত্র আন্দোলনকেও বিএনপি দলীয়করন করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি নিজেরা এখন আন্দোলন করতে পারেনা।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ’র সকল নেতা-কর্মীর উপর ভয়াবহ অত্যাচার করেছে বিএনপি। তখন তারা বলত একটা আওয়ামীলীগ পিটাবা ২ টন গম পাবা। মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষন করেছে তারা। এমনকি গরুর দড়ির খুটা দিয়ে লালমোহনে মানুষের চোক উপড়ে ফেলা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তরুন ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের এখনই স্বিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিএনপি যদি আবার সুযোগ পায়, তবে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ লোককে হত্যা করবে। তাই স্বাধীনতার চেতনা, মূল্যবোধ বুকে ধারন করে আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ করতে আহবান জানান।
ভোলা সরকারি কলেজে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী স্ত্রী মিসেস আনাওয়ারা আহমেদ,ভোলা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার,ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও যুগ্ম-সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন,সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ইউনুছ মিয়া জেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী কলেজ চত্তরে একটি বিজ্ঞান ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, প্রশাসনিক ও হোস্টেল ভবনের উদ্বোধন করেন। পরে ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে কলেজের একটি হোষ্টেল ও অডিটরিয়াম নির্মানের ঘোষনা দেন।