স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম॥
ভোলার চরফ্যাশনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের সময় বাঁধা দেওয়ায় মা ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রভাবশালী ফিরোজ বাহিনী। হামলায় গুরুতর আহত রিজিয়া বেগম ও প্রতিবন্ধী মরিয়মকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (০৩ অক্টোবর) চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের কুলসুমবাগ গ্রামের আঃ হক চৌকিদার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আহত মোসাঃ রিজিয়া বেগম জানান, তার মৃত স্বামী আলমগীর হোসেনের নানা ৭০ বছর পূর্বে মেয়ের সুখের জন্য ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে দেন। সেই থেকে আলমগীর হোসেনের পিতা-মাতা ওই জমিতে বসতি স্থাপন করে বসবাস করে আসছিলো। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর আলমগীর হোসেন ওই জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে ভোগদখল করে। কয়েক বছর পূর্বে আলমগীর হোসেন মারা গেলে তার স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়ী, বাগান ও পুকুরের সম্পত্তি ভোগ করে আসছে। গত কয়েকদিন পূর্বে একই বাড়ীর মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে প্রভাবশালী ফিরোজ গংরা রিজিয়া বেগমকে বাড়ি থেকে উৎখাত করার জন্য ৪০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছিলো। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক শালিশ বিচার হয়। এক পর্যায়ে রিজিয়া বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- এমপি ১৫৬/২০। মামলার পর ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। শনিবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফিরোজ এর নেতৃত্বে ফরহাদ, বাদল, বিপাশা, ফাতেমা, হাজেরা বেগম দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে জমি দখলের জন্য জোরপূর্বক গাছ-গাছরা কাটতে শুরু করে। এসময় জমির মালিক বিধাব মোসাঃ রিজিয়া বেগম বাঁধা দিলো ফিরোজ বাহিনী তাকে এলোপাথারী মারধর করে। এসময় রিজিয়া বেগমের প্রতিবন্ধী মেয়ে মরিয়ম এগিয়ে আসলে ফিরোজ গংরা তাকেও বেধম মারধর করে। রিজিয়া ও মরিয়মের আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতাল পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে রিজিয়া ও মরিয়ম ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
কান্না জড়িত কন্ঠে রিজিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী না থাকায় ফিরোজ, ফরহাদ গংরা আমাদেরকে বাড়ি থেকে উৎখাত করে আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। তারা আমাদের জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে গাছ-গাছরা কাটেও জমিতে বেড়া দেয়। আমি বাঁধা দিলে আমাকে ও আমার মেয়েকে মারধর করে। আমি প্রভাবশালী ফিরোজ গংদের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজ গংদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।