সোহেব চৌধুরী,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। নানা সমস্যায় জর্জরিত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির থিয়েটারে নেই উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি।
রোগীদের ওয়ার্ডে পানি এবং বিদ্যুতের সমস্যা, ময়লা আবর্জনা ও দূর্গন্ধযুক্ত বাথরুমসহ নানান সংটাপন্ন অবস্থা।আল্ট্রাসনোগ্রাম ,এক্স-রে ও ইসিজি মেশিনটিও বিকল হয়ে পরে আছে দির্ঘদিন যাবত। প্যাথলজি বিভাগে একজন টেকনোলজিষ্ট দিয়ে চলছে পরিক্ষা নিরিক্ষার কাজ। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও হাসপাতালের অব্যবস্থাপনায় কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। ১৯৬২ সালে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে পৌরসভাসহ এ উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও বিচ্ছিন্ন দ্বিপ এবং মনপুরা উপজেলার (একাংশ) প্রায় ৬ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার নির্ভরতার প্রতিক। বর্তমানে এ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ রোগী আসে চিকিৎসা সেবা নিতে অথচ ধারন ক্ষমতার চেয়ে ১০গুও বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে শতশত মানুষ। চিকিৎসকের জন্য ৪০টি পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৫জন চিকিৎসক। রোগীদের চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে ২০১৮ সালে এ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ৫০ সয্যা থেকে ১০০ সয্যায় উন্নিত করে নতুন কওে ভবন নির্মানের কার্যক্রম করেন, যা এখন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাবে চকিৎসা সেবা ব্যাহত হলেও যুগযুগ ধওে পর্যপ্ত জনবল নিয়োগ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দেয়নি জেলা বা উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বর্তমান সরকারের আমলে এ হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নিত হলেও জনবল ও উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সেবা মুখ থুবরে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানিয় সাংসদ নির্দেশক্রমে হাসপাতালের সমস্যা উল্লেখ কওে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আবেদন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে গড়ে প্রায় ২শ রোগী ভর্তি থাকেঅ প্রতি ১০জন রোগীর জন্য ১জন নার্স থাকার কথা কিন্তু দেখা গেছে ২০০ রোগীর জন্য সিপটে আছে মাত্র ৩-৪জন নার্স। আমাদেও চিকিৎসকসহ অন্যান্য পদের কর্মকর্তা ও কর্মচারি ও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে ফলে চিকিৎসা সেবায় একটু চাপ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন করেছি।