ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে সড়কপথে আজ রোববার ভোর ছয়টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখার কর্মসূচি শুরু করেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। কর্মসূচির শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য খালাস এবং রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে।
এক্সেল লোড কন্ট্রোল বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র একই নিয়মে পরিচালনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে ১৬ অক্টোবর এই কর্মবিরতি কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ঐক্য পরিষদ। এই পাঁচ দফা দাবি হলো, একই নিয়মে এক্সেল লোড কন্ট্রোল পরিচালনা করা, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রেইলরের আরোপিত কর ১০ হাজার টাকা বাতিল করে আগের নিয়মে ৫০০ টাকা নেওয়া, সহজ শর্তে চালকদের লাইসেন্স প্রদান, সড়ক-মহাসড়কে পুলিশি নির্যাতন ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ।
চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহন হয় মূলত বন্দর থেকে। এ ছাড়া ঘাট, গুদাম ও কারখানায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। কর্মসূচির কারণে বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে পড়ায় কনটেইনারের স্তূপ বাড়ছে। আবার সারা দেশ থেকে রপ্তানি পণ্য চট্টগ্রামের ১৬টি কনটেইনার ডিপোতে কনটেইনারে বোঝাই করা হয়। এরপর বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। রপ্তানি পণ্য পরিবহনও বন্ধ হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইমমুভার ট্রেলারে পণ্য আনা–নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের সচিব রুহুল আমিন সিকদার প্রথম আলোকে জানান, আজ যেসব কনটেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার কথা, সেগুলো ভোরের মধ্যে বন্দরে নেওয়া হয়েছে। ফলে রপ্তানি পণ্য পরিবহনে আজ প্রভাব পড়বে না। তবে আগামীকাল সোমবার ভোরের মধ্যে ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে নেওয়া না গেলে বড় প্রভাব পড়বে।
কর্মবিরতি আহ্বানকারী সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক চৌধুরী জাফর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গত এপ্রিল মাস থেকে এই পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কাছে চিঠি ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কর্মবিরতি ডাক দেওয়ার পরও সব দাবি নিয়ে সরকারি কোনো উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এই কর্মবিরতি।