ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেটঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পাইকরহাটি গ্রামে আলেয়া খাতুন (৪৩) নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ টুটুল মল্লিক (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার গ্রামের বিলের একটি ধানখেত থেকে পুলিশ আলেয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করেছে।
দুই সন্তানের মা আলেয়া ওই গ্রামের আরদোশ আলী মল্লিকের স্ত্রী। সাঁথিয়া থানায় দেওয়া অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আলেয়া খাতুন ১ নভেম্বর দুপুরে দিকে গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশে লাকড়ি কুড়াতে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। খোঁজার পর তাঁকে না পেয়ে ৩ নভেম্বর তাঁর স্বামী আরদোশ মল্লিক সাঁথিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিষ বিন্ হাছান ওই জিডির বিষয়ে তদন্ত করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ গতকাল সোমবার একই গ্রামের আতাহার মল্লিকের ছেলে টুটুল মল্লিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে টুটুল জানান, তিনি আলেয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন। পরে তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ আজ মঙ্গলবার গ্রামের বিলের একটি ধানখেত থেকে আলেয়ার লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিষ বিন্ হাছান সাঁথিয়া থানায় আজ দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, থানায় জিডি হওয়ার পরপরই পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ওই গৃহবধূকে খুঁজতে থাকে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ টুটুল মল্লিকের রহস্যময় গতিবিধি সম্পর্কে জানতে পারে। পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে একপর্যায়ে টুটুল এলাকা থেকে পালিয়ে যান। গতকাল সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কৌশলে টুটুলকে থানায় ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে টুটুল জানান, নির্জন স্থানে তিনি ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ওই গৃহবধূ ঘটনাটি ফাঁস করে দেওয়ার কথা জানালে টুটুল তাঁকে হত্যার পর লাশ ধানখেতের পানির মধ্যে ফেলে দেন। টুটুলের বর্ণনা দেওয়া স্থান থেকে আজ ভোর ছয়টার দিকে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ঘটনাটির রহস্য ভেদ করার জন্য তিন-চার দিন ধরে আমরা অনেক খেটেছি। শেষ পর্যন্ত রহস্য উদ্ঘাটন এবং খুনিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মেয়ে শাবানা আক্তার (২০) বাদী হয়ে টুটুল মল্লিককে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেছেন।’