মো: আফজাল হোসেন ।। সিমিত আকারে সার্মেন্টস ও ছোট শিল্প কারখানা খুলে দেয়ায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মুখী শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। তারা ভোলার ইলিশা-লক্ষিপুর ফেরিঘাটে জড়ো হয়েছে।
গার্মেন্টস ও শিল্প কল কারখানা খুলেছে মালিকরা। তাই যেভাবেই হোক তাদের কাজে যোগ দিতে হবেই। তাই ভোলার শ্রমিকদের স্রোত এখন ঢাকা-চট্রগ্রামুখী। তবে না যেতে পারায় চরম বিপাকে পরেছে শ্রমিকরা। দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া থাকলেও ঝুকি নিয়ে যাচ্ছে তারা। এমন আমেনা বেগম কোলে সন্তান নিয়ে বলেন,এই ছেলে কুমিল্লাতে জন্মগ্রহন করেছে। তাকে সেখানের ডাক্তার দেখাতে হবে। এখন কি করে যাব বুঝতে পারছি না। অপর এক গার্মেন্টস কর্মী হনুফা বলেন,যেকোন ভাবেই হোক ঢাকা যেতে হবে। না হলে মালিকরা বেতন দিবে না। বেতন না দিলে খাব কি। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এক যাত্রী বলেন,সরকার ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারা আমাদের খোজ-খবর নেয়নি। কি খাব। একমাস ঘরে বন্ধী দুটো চাউল দেয়নি কেউ। আল্লাহ চাইলে ঢাকা গিয়ে কাজ করে চলতে হবে।
নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকায় হয়রানীর স্বিকার হচ্ছেন তারা। তাদের বক্তব্য না যেতে পারলে বেতন পাবেন না আর বেতন না পেলে সংসার চালাবেন কি করে। তাদের খোজ নিচ্ছে না কেউ। তাই চরম ক্ষোভ দেখা গেছে এসব শ্রমিকদের মাঝে। সকাল থেকে জড়ো হওয়া অনেক শ্রমিক যেতে পারলেও বেশির ভাগে পারছেন না যেতে।
ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে এসে জড়ো হওয়া শ্রমিকদের তাদের উদ্দেশ্য কোন ভাবেই হোক ঢাকা পৌছানো। তবে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। ফেরিতে করে লক্ষীপুর হয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম যাওয়া যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
অপরদিকে ভোলা-লক্ষিপুর ফেরিঘাটে দ্বায়িত্বরত কোস্টগার্ড দক্ষিন জোন এর পেটি অফিসার জাহিদ মিয়া বলেন,করোনা ভাইরাস যাতে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পরতে না পারে তার জন্যই টহল জোরদার করা হয়েছে। নদী পথেও আমরা টহল জোরদার করেছি। সরকার যতদিন না পর্যন্ত এই অব্যাহত শিথিল করবে ততদিন আমাদের টহল অব্যাহত রাখবো।
এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক মুঠোফোনে বলেন,সরকারের নির্দেশনা আছে,যারা ধান কাটা,গার্মেন্টস শ্রমিক তাদেরকে যেতে দেয়া হবে। অর্থনীতি বন্ধ করে দেয়া যাবে না। তাই এখন থেকে শ্রমিকদেরকে ঢাকা ও চট্রগ্রামে যেতে দেয়া হচ্ছে।