আলেমরা প্রকৌশলী হলে রডের বদলে বাঁশের কঞ্চি দেবে না: শিক্ষামন্ত্রী

0
416

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেটঃ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আলেম যদি ভালো কর্মকর্তা হন, তাহলে তিনি ঘুষ খাবেন না। যদি প্রকৌশলী হন, তাহলে রডের বদলে বাঁশের কঞ্চি দেবেন না। আলেমরা আদর্শ চিকিৎসক হবেন। তাই একজন ভালো আলেম জেলা প্রশাসক, সচিব, মন্ত্রী হোক-সেভাবে মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করেছে সরকার।

শুক্রবার রাজধানীর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে অপ্রচার চালায় নৌকায় ভোট দিলে মসজিদ-মাদরাসা থাকবে না। ইসলাম থাকবে না এই বলে। কিন্তু কোনো সরকার ইসলামের জন্য কিছু করেনি, আলেমদের জন্যও কিছু করেনি। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে আলেমদের একশ’ বছরের দাবি পূরণ করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি জানান, ৫২টি মাদরাসায় স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা হয়েছে। এক হাজার ৩৩৪টি মাদরাসা আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। জ্যোতিষ বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র, গণিত, অর্থনীতি বিষয়ে মুসলিম মনীষিদের অবদান তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরবি ভাষায় শুধু দুটি ধর্ম গ্রন্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর মাধ্যমে অতীতে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সাহিত্যের চর্চা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ২০১৩ সালে মাদরাসা উচ্চশিক্ষা বিস্তারে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষার গণজাগরণ হয়েছে। ইসলামি ও আরবিতে উচ্চশিক্ষার পথ প্রসারিত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল শ্রম বাজারে টিকে থাকতে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষার পারদর্শী হওয়ার অর্জনের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, মাদরাসার আরবি ভাষার দক্ষতা ও ইসলামি জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরবি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞান বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার বিতরণ করবেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ পরিকল্পনা একনেকে পাস হয়েছে। নিজস্ব ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার আটটি বিভাগের সেরা ৮৪জন প্রতিযোগী আরবি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞান বিষয়ে জাতীয় প্রতিযোগীতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে দেশসেরা নির্বাচন করা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের থেকে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তিনজনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার তুলে দেবেন। প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে ফাজিল ও কামিল শ্রেণির এক হাজার ৫২৫জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে সন্ধ্যায় মাদরাসা শিক্ষার্থী অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

LEAVE A REPLY