ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :আদালতের নির্দশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখাশোনার জন্য রাজধানীর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তাঁর গৃহপরিচারিকা ফাতেমা। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কারাগারে তাকে দেখাশোনার জন্য ফাতেমাকে রাখার নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে কারাগারে রাখা হয়েছে ফাতেমাকে। এর পর থেকেই আলোচনায় আসেন গৃহপরিচারিকা ফাতেমা।
জানা গেছে, প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বিএনপির চেয়ারপারসনের গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন ফাতেমা। ৩৫ বছর বয়সী ফাতেমা খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কাজগুলো করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন তাঁর দৈনন্দিন কাজের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ফাতেমার ওপর নির্ভরশীল। দেশের ভেতর তো বটেই, দেশের বাইরে গেলেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকেন তিনি।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় চেয়ারপারসনের এই কাজগুলো সঠিকভাবে করার কারণে খালেদা জিয়া এখন তাঁর কাজগুলোর ব্যাপারে ফাতেমার ওপর নির্ভর করেন। এ কারণে দৈনন্দিন কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার জন্য আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, ফাতেমা বাবা-মার সঙ্গে ঢাকার শাহজাহানপুরে থাকতেন। এখন তাঁর বাবা-মা ও কিশোর বয়সী একমাত্র ছেলে শাহজাহানপুর এলাকাতেই থাকেন। ২০১৫ সালে জানুয়ারি থেকে ৯২ দিন গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থানের সময় খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা। ফাতেমার একমাত্র ছেলে ওই সময় মাঝেমধ্যে গুলশান কার্যালয়ে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে যেত।
তাঁর পরিবারের ব্যাপারে বিএনপির সাবেক দুজন সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা সব খবর রাখেন। মূলত তাঁরাই ফাতেমাকে খালেদা জিয়ার বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজে পাঠান।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যখন গুলশানের কার্যালয়ে থেকে খালেদা জিয়াকে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না ওই সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের পেছনে পতাকা হাতে দাঁড়ানো ফাতেমাকে নিয়ে অনেকেই কৌতূহল দেখান।
খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ থাকার সময় গুলশান কার্যালয়ে ফাতেমার সঙ্গে কোনো কোনো সাংবাদিকের কথাও হয়েছে। খুবই স্বল্পভাষী ফাতেমা সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে তিনি অনেক দেশে গেছেন।