অস্ত্রোপচার কক্ষে চিকিৎসকদের বচসা, গর্ভের শিশুর মৃত্যু

0
461

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। গর্ভবর্তী নারীকে নেওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচার কক্ষে। অস্ত্রোপচার শুরুর অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা নারী। তিনি অচেতন। চিকিৎসক, সেবিকাসহ আছেন আরও কয়েকজন। কিন্তু অস্ত্রোপচার যাঁরা করবেন, সেই চিকিৎসকেরা হঠাৎই ঝগড়ায় ব্যস্ত হয়ে গেলেন। গলা ফাটিয়ে চিৎকার, কথা-কাটাকাটি, গালাগালির সঙ্গে একে অপরকে দিলেন হুমকিও। এরপর দুই চিকিৎসকের একজনের অস্ত্রোপচারে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো ঠিকই, কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি সন্তানের। পুরো ব্যাপারটি মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করেন হাসপাতালের একজন কর্মী।

গতকাল মঙ্গলবার ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুরে উমাইদ হাসপাতালে ঘটেছে মর্মান্তিক এ ঘটনা। হাসপাতাল ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গর্ভের সন্তানের হৃৎস্পন্দন দুর্বল হওয়ার কারণে জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই ওই নারীকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। প্রসূতি নারীর অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায়। এ সময় ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ নাইনিওয়াল জানতে চান, অস্ত্রোপচার কক্ষে আনার আগে রোগী কিছু খেয়েছে কি না। অপর অবেদনবিদ এম এল টাক কনিষ্ঠ এক চিকিৎসককে দিয়ে কিছু পরীক্ষা করাতে চেয়েছিলেন, যা পছন্দ হয়নি নাইনিওয়ালের। নাইনিওয়াল তাঁর সহকর্মীকে অস্ত্রোপচার কক্ষে বলেন, ‘আপনি নিজের সীমার মধ্যে থাকেন।’ এরপরই দুজনের মধ্যে চিল্লাচিল্লি ও নাম ধরে ডাকা শুরু হয়। একজন সেবিকা ও অন্য এক চিকিৎসক তাঁদের থামাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু দুজন চিকিৎসক বচসায় জড়িয়ে পড়েন। নারীর দিকে নজর না দিয়ে ঝগড়া করতে থাকেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত বিবাদ মিটিয়ে অস্ত্রোপচার করা হলেও মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। ঘটনার পর ওই দুই চিকিৎসক নাইনিওয়াল এবং এম এল টাককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার বলেন, ওই নারীকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখনই তাঁর ভ্রূণের অবস্থা ভালো ছিল না। তবুও নবজাতকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অস্ত্রোপচার কক্ষে দুই চিকিৎসকের ঝগড়ার কারণেই চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার রঞ্জনা দেশাই জানান, ওই রোগীকে সংকটজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁকে তৎক্ষণাৎ অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। তাঁর বাচ্চা মারা যায়। এই ঝগড়ার কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

এদিকে রাজস্থান হাইকোর্ট এর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে।

LEAVE A REPLY