ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘কাউকে আমরা ক্রসফায়ারে দেই না।’ তিনি বলেন, ‘সমস্ত গোয়েন্দা বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিয়েছে; কারা মাদকের সঙ্গে জড়িত, কারা মাদকের ব্যবসা করে। আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করছি।’
আজ বুধবার খুলনায় জলদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লবনচোরায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই আমাকে বারবার প্রশ্ন করছেন, রাতে টিভিতেও এ সমস্ত কথা বলা হয়ে থাকে; ক্রসফায়ার হয়েছে, বিনা কারণে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কোনো অবস্থাতেই তাদের ওপর গুলি করে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি না হয়। আমাদের কাছে যে লিস্ট রয়েছে সে লিস্ট অনুযায়ী আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের খুঁজছে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘যখন চ্যালেঞ্জ করা হয় তখনই নিরাপত্তা বাহিনী নিজেদের রক্ষা করতে গুলি করতে বাধ্য হয়।’ তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাদের পুলিশ সদস্য, র্যাবের সদস্যও আহত হচ্ছেন।’
মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সারেন্ডার করে, মোবাইল কোর্ট নামে যে কোর্ট রয়েছে সে কোর্টে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বিচার হচ্ছে। যারা নির্দোষ হচ্ছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা দোষী হচ্ছে তাদের সাতদিন থেকে ছয়মাস, এক বছর পর্যন্ত সাজা হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিনহাজারের কাছাকাছি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের সরবরাহকারী ধরা হয়েছে। তারা কারাগারে অন্তরীণ হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমরা আর কোনো ঐশি তৈরি হতে দিব না। আমাদের মেধাকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। আমাদের যুব সমাজকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি এ যুদ্ধে জয়ী হতেই হবে।’
অনুষ্ঠানে খুলনা ও বরিশালের জলদুস্যদের ছয়টি বাহিনীর প্রধান ও ৫৭ জন জলদস্যু স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তাঁরা ৫৮টি অস্ত্র ও এক হাজার ২৮৪টি গুলি জমা দেন। ওই ছয় বাহিনী হচ্ছে দাদা ভাই বাহিনী, হান্নান বাহিনী, আমির আলী বাহিনী, সুর্য বাহিনী, ছোট সামছু বাহিনী ও মুন্না বাহিনী । অনুষ্ঠানে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
এই অনুষ্ঠানে এর আগে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের আটটি বাহিনীর প্রধানদের এক লাখ টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।