ভোলার নিষিদ্ধজোনে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা,বিক্রি,সরবরাহ সবই হচ্ছে প্রকাশ্যে

0
736

মো: আফজাল হোসেন ।। ইলিশ ধরা বন্ধ হচ্ছে না সরকারী ভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হলেও। তার উপর বৈশাখকে সামনে রেখে জেলেরা মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছে জেলেরা। এসব মাছ যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আর বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যেই। তবে ইলিশের দাম চড়া।

ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে মার্চ,এপ্রিল দুইমাস ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরেজমিন গেলে দেখা যায়,অন্যসব বছর গুলোতে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ থাকলেও এবছর তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। নদীতে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

ছুটে চলছে মাছ ধরতে নদীর একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে। আর সবই হচ্ছে প্রকাশ্যে দিনের বেলাতেই। মাছ ধরার পর নদীর পাড়ের মাছের আড়ত গুলোতে হাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ। ক্রেতারা কিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন।

শুধু তাই নয়,এই মাছ যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। বড় বড় ঝুড়ি করে ঢাকাগামী লঞ্চে করে নেয়া হচ্ছে। এসব বিষয় জেলে,ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন,সামনে বৈশাখ তাই মাছ ধরছেন। তবে বর্তমানে একটু কম। কয়েকদিন আগেও প্রচুর ইলিশ মাধ ধরা পরেছে। এখন একটু কম। তবে আগামী ২,৩দিন পর আবার প্রচুর ইলিশ ধরা পরবে।তবে সাধারন জেলে ও ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।তারা বলেন, চরগুলোতে প্রভাবশালীরা চরঘেরা,পিটানো জাল দিয়ে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরছে।

অথচ এসব জাল প্রশাসনের কেউ ধরছেন না।ঐ ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলার মধ্যেই দেখা যায়,একটি ট্রলারে করে ১৮,২০জনকে নিয়ে একটি ট্রলার মেঘনা নদীর মাঝে ডুবো চরে যাচ্ছে মাছ ধরতে।তারা জাল দিয়ে ঘেরাও করে বাঁশ দিয়ে পানি পিটিয়ে চারদিক থেকে মাছগুলোকে জালে আটকাতে সাহায্য করে থাকেন।

যদিও এখন ইলিশ ধরা পরছে আগের তুলনায় কম,তাই দাম চড়া। সকালে ও রাতে মাছ ধরতে বেশি দেখা গেছে। ভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনেই প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। একই সাথে এই সময় বরফকল গুলো বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সবগুলো চালু আছে।

এদিকে ইলিশ ধরা হচ্ছে বিষয়টি স্বিকার করে ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার মো: আসাদুজ্জামান বলেন,বিগত দিনে মাছ ধরাটা বেশি ছিলো আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। এটা সম্পুর্ণ কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। একই সাথে জনবল কম থাকার বিসয়টিকে তুলে ধরলেন। একই সাথে অভিযানে ২৩১জেলেকে আটক আর ৪০জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়ার পাশাপাশি ৯লাখ ৩০হাজার টাকা জরিমানা এবং ১লাখ ১০হাজার মিটার জাল আটক করে পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

 

 

LEAVE A REPLY