ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। মনপুরার মেঘনায় ইলিশ ধরা অবস্থায় ১৮আগষ্ট শুক্রবার সন্ধা ৬টার সময় হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনী জাগলাচর সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ১ জেলে মাঝিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপহৃত মাঝিকে ছাড়িয়ে আনতে জলদস্যু বাহিনী ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। বিষয়টি ট্রলার মালিক ও পরিবার সুত্রে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন মিয়াকে অবহিত করা হয়েছে। অপহৃত জেলে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসন মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করছেন বলে নিশ্চিত করেন অফিসার ইনচার্জ দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন।
কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে জলদস্যুরা আবারও মেঘনায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। জেলেদের মারধর করা হচ্ছে। জেলেদের অপহৃত করায় তাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরতে জেলেরা সাহস পাচ্ছেনা । জলদস্যুদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও রাজি হচ্ছেন না।
খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলেদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত ফারুক মাঝি জাগলাচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে জাল ফেলে । জাল টানা অবস্থায় জলদস্যুরা ওত পেতে থাকা হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনীর ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রসহ তাক করে জেলেদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পরে জলদস্যুরা অস্ত্রে মুখে ট্রলারে উঠে জেলেদের জিম্মি করে ফারুক মাঝির ট্রলার থেকে নিকসন মাঝিকে অপহৃত করে নিয়ে যায়। অপহ্রত নিকসন মাঝি ফারুক মাঝির ছেলে। জলদস্যুরা নিকসন মাঝির মোবাইল ফোনে রিং দিয়ে ৫০হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। মুক্তিপনের বিনিময়ে জেলেদের ছাড়িয়ে আনার জন্য বলেন জলদস্যু বাহিনী।
এব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন মিয়া বলেন,ঘটনা শোনার সাথে সাথে অপহৃত জেলেকে উদ্ধারের জন্য মেঘনায় অভিজান চালানো হচ্ছে। এস আই মোঃ জসিমউদ্দিনের নের্তৃত্বে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা কআ হচ্ছে। এখনও অপহ্রত জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের অভিযান উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।