ইয়ামিন হোসেন/ ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ভোলা সদর উপজেলার ২ নং ইলিশা ইউনিয়নের চর আনন্দ ০৬ নং ওয়ার্ডের এক গৃহ বধুর ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানাযায় ইলিশা কালুপুর গ্রামে রুহুল আমিন কবিরাজের মেয়ে রুবিনা(২২) এর সাথে চর আনন্দ পাট- ০৩ -০৬ নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর হাজারীর ছেলে আমজাদ (২৫) এর সাথে ২বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধন হয়। এবং আমজাদ রুবিনা দাম্পত্য পরিবারে আনিকা নামে ১১ মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে আমজাদ ও তার পরিবার রুবিনাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন করতো, এরই ধারাবাহিকতায় গত কাল শনিবার রাতে রুবিনাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন মৃত রুবিনার স্বজনেরা। স্থানীয়রা জানান রুবিনার বাবা হত দরিদ্র পরিবারের কর্তা হয়ে ও বিভিন্ন সময়ে মেয়ের সুখের জন্য জামাতা আমজাদের সকল চাওয়া পাওয়া পূরন করেন। তার পরেও সুখের বদলে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখলো আমজাদ ও তার পরিবার। কান্না জড়িত কণ্ঠে মৃত রুবিনার ফুফু ইয়ানুর জানান আমার ভাই পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় থাকেন। আমি রুবিনার অসুস্থতার খবর শুনে তার শশুর বাড়িতে আসলে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ, অথচ বাড়িতে লোকে লোকারন্য। এরপরে পুলিশ ও মেম্বার আসলে আমি ও তাদের সাথে ঘরে প্রবেশ করি। ভিতর গিয়ে দেখি আমার ভাতিজি রুবিনাকে পাষন্ডরা মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এবং মৃত দেহের পাশে একটি ঝাড়– ও দেখতে পাই, একই কথা বললেন, রুবিনার মামাত ভাই ইউছুফ শাহরিয়া ও সাহানা বেগম। পাষন্ড আমজাদের চাচি শাহানা বেগম জানান আমরা রাতে ডাক চিৎকার শুনে আমজাদের ঘরে গিয়ে দেখি রুবিনা ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে আমজাদ ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কাউকে পাওয়া যায়নি । ইলিশা ইউ,পি চেয়ারম্যান হাছানাইন আহম্মেদ হাছান মিয়া জানান মৃত্যুর ঘটনাটি শুনেছি। তবে হত্যা না কি আত্মহত্যা তাহা ময়না তদন্তের রিপোর্টেই প্রমান করবে। স্থানীয়রা জানান ১১ মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রেখে কি কোন মা সহজেই আত্মহত্যা করতে পারে? নাকি পাষন্ড আমজাদ ও তার পরিবার এই নির্মম হত্যা চালিয়েছে? যেখানে গলায় ফাঁস দেওয়ার কথা উঠেছে অথচ সেখানে গলায় ফাঁস পরার মত পরিবেশ ছিলনা বলেও জানান রুবিনার ভগ্নিপতি ইমন মাঝি, রুবিনার বাবা রুহুল আমিন কবিরাজ জানান আমার মেয়েকে তারা হত্যা করে আতœহত্যার নাটক সাজিয়েছে। এদিকে ঘটনাটি দামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান রুবিনার স্বজনরা। ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোক্তার হোসেন জানান আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে রুবিনা নামের এক গৃহ বধুর ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করি। অতঃপর ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি।