ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগেই সারাদেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে পরীক্ষা চলাকালীন দেশে ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ রাখা হতে পারে। সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই পাবলিক পরীক্ষায় ১৭ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। বিগত কয়েক বছর ধরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বেশ তত্পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
মনিটরিং কমিটির সভায় পরীক্ষা সুষ্ঠু, নির্বিঘ্ন ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো রোধ, ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো কোচিং সেন্টার খোলা রাখা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা টেপযুক্ত বিশেষ খামে পরিবহন করা হবে। বহু সেট প্রশ্ন প্রস্তুত রাখা, নির্ধারিত সময়ের আগে প্রশ্ন না খোলা, পিন কোড ব্যবহার, অনলাইনে বা ইউএসবি ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানো এবং পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে কিছু সময়ের জন্য কেন্দ্র এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ব্যাপারেও সভায় আলোচনা হয়।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, এসএসসি পরীক্ষা সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা নকল প্রতিরোধে আক্রমনাত্মক থাকবে। শিক্ষক-কর্মকর্তা জড়িত থাকলে বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ, ড. অরুণা বিশ্বাস ও জাবেদ আহমেদ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিজি প্রেসের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।