ভোলা নিউজ ২৪ডটনেট : বাংলাদেশে নিযুক্ত অনাবাসিক দূতরা নিরাপত্তা ও মর্যাদাসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের সঠিক প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশকে তাদের সমর্থন দিয়েছেন।
নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকরা রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ সমর্থন দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নগরিকদের সে দেশে ফেরত নিতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার জন্য তার আহ্বান পুনর্বযক্ত করে বলেন, মিয়ানমারের সরকারকে তার নাগরিকদের অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে যথাযথ মর্যাদা ও নিরাপত্তা দিয়ে ফেরত নিতে হবে।
দূতরা হলেন- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গ্রিস, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত, সাইপ্রাস, মরিশাস ও কেনিয়ার হাইকমিশনার, অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক ও ঘানার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সচিব।
এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী উপস্থিত ছিলেন। নয়াদিল্লিভিত্তিক এসব মিশন প্রধান ও কূটনীতিকরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাদের (রোহিঙ্গা) ভোগানি্ত খুবই বেদনাদায়ক।
এই সংকট নিরসনে আলোচনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তারা বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে তাদের স্বদেশ ভূমি রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও নেপিডোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের উল্লেখ করে বলেন, মিয়ানমার তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় পুনর্বাসনে সহায়তায় রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশনসহ পরিচয়পত্র দেয়াসহ তাদের জন্য অস্থায়ী আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তোলায় তার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য পৃথক একটি জায়গায় আবাসনের উদ্যোগও নিচ্ছে তার সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানবিক কারণেই তাদের আশ্রয় দিয়েছি।
তবে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ভার বহন করা বাংলাদেশের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। তিনি বলেন, জানি না কবে মিয়ানমার তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করবে। তবে এজন্য আন্তর্জাতিক চাপ বজায় রাখতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।