এম.এ আকরাম,ঢাকা :: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন বিরোধী ও ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতার ভাই ঢাকা ডেমরা কলেজের এডহক কমিটির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সন্ত্রাসী আব্দুল জলিলকে সভাপতি মনোনীত করায় ক্ষোভ ফুসে উঠেছে ছাত্র-শিক্ষকসহ এলাকাবাসী। দ্রুত এই আওয়ামী সন্ত্রাসীকে প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে। অন্যায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ছাত্র – জনতা প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর নতুন পুনরায় আব্দুল জলিলকে সভাপতি হিসেকে মনোনীত করে। যদিও জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন হচ্ছে কোন ব্যক্তি দুইবার এর বেশি কমিটির সভাপতি হতে পারবে না, কোন ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করেই পর পর তিনবার তাকে সভাপতি মনোনীত করে। শুধু তাই নয় চতুর্থ বারের মত সভাপতি মনোনীত করায় চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পর। দ্রুত এঘটনা ছড়িয়ে পরলে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয় সাথারন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের মাঝে। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নেই আন্দোলনে একাধিক ছাত্র হত্যা মাসলার এজাহারভুক্ত ১৯ নং আসামী তার আপন বড় ভাই আব্দুল আউয়াল। ঐ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। যার মামলা নাস্বার সি আর (ডেমরা) ৩০১/২০২৪। এখানেই শেষ নয় আওয়ামী লীগের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত ও দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে মারধোরসহ লাঞ্চিত করিয়েছেন, এই বিষয়ে ডেমরা কলেজের সসহকারী অধ্যাপক শংকর চন্দ্র নাথ ৮ ই সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
বৈশম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সন্ত্রাসী নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালাই, এমন কোন কাজ নেই যা সভাপতি হিসেবে করেনি। তার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেত এলাকার সাধারন মানুষ মুক্তির পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে , যে কারনে পুনরায় সভাপতি মনোনীত হওয়ার খবরে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসি এবং শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষকরা, কারন বহু শিক্ষককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে তার দোষর কলেজের অধ্যক্ষ অভিযোগে থেক আরো জানাযায় ডেমরা কলেজের অধ্যক্ষ ড. নুর আলম। তিনিও ছাত্র- জনতার আন্দোলনে হত্যা নির্যাতন নিপিরন চালিয়েছেন, একজন শিক্ষক হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর অমানুষিক ভাবে হামলা চালানো এই অধ্যক্ষ ছাত্র হত্যার অভিযোগে সোনারগাঁও থানায় হত্যা মামলা রয়েছে।
এসব ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থী,শিক্ষকসহ এলাকাবাসি দ্রুত বিচারে দাবিতে অধ্যক্ষ ও সন্ত্রাসী সভাপতিকে প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারনের দাবী জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অন্যাথায় কঠোর আন্দোলন করার হুমকি প্রদান করেন।