মোঃ আফজাল হোসেন :: দুর্যোগের মাঝে যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ থেকে নামতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা। পন্টুনের সিড়ি ছুটে মেঘনা নদীতে পড়ে যাবার উপক্রম হয়েছিলো। লঞ্চ চালকদের এমন কান্ডে হতবাগ এসব যাত্রীরা।এছাড়া হামুন মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল দুপুর ১টায় এমভি দোয়ের পাখি ১০ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে ভোলার ইলিশায় আসে। পর যাত্রী নামতে গিয়ে পন্টুন ছিড়ে যাবার উপক্রম হয়। এসময় সকল যাত্রীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। লঞ্চটির অদক্ষ চালকদের কারনেই এই র্দুভোগে পড়ে শত শত যাত্রীরা। পরে স্থানিয়দের সহায়তায় দ্রুত বিকল্প সিড়ি দিয়ে নেমে আসে যাত্রীরা। এছাড়া গ্রীন লাইন ও কর্নফুলী লঞ্চ আসে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে।
এদিকে আজ সকাল থেকে দুপুরের মাঝেই ঘুর্নিঝড় হামুন ভোলাসহ উপকুলীয় এলাকা অতিক্রম করবে। যে কারনে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে ভোলা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে বলে জরুরী সভায় জেলা প্রশাসন জানান। এছাড়া প্রস্তত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোকে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবলায় বন্ধ রয়েছে দ্বীপ জেলার সাথে সকল রুটেন লঞ্চ এবং ফেরি চলাচল ব্যবস্থা।
এদিকে সবচেয়ে ঝুকিতে রয়েছে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর মধ্যবর্তী চরাঞ্চল গুলোর মানুষ গুলো। তাদের দ্রুত সময় নিরাপদে সরিয়ে আনাটা বেশ ঝুকিপুর্ন হয়। বাস্তবে মবাইকে নিরাপদে সরিয়ে আনা সম্ভব হয় না। একে বারেই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র নেই দির্গম ঢালচরে। যেখানে পাকা কোন ভবন নেই বল্লেই চলে। ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ৭৪৩টি সাইক্লোন সেন্টার, ১২টি মুজিব কিল্লা ও ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি এবং প্রায় দুই হাজার রেড ক্রিসেন্ট সদস্য।