পূনর্বাসনবিষয়ক চিকিৎসক ও বায়োইঞ্জিনিয়ার লরা এফ জ্যাকবস এই যন্ত্র তৈরি করেছেন। এতে পালস ম্যাসাজ প্যাটার্ন ব্যবহার করা হয়, যা তিনটি কায়দায় দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে সাহায্য করে।
১. পালসিং: স্কুয়েনশিয়াল পালস প্রযুক্তিতে স্থিতিশীলভাবে চাপ না দিয়ে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ থেকে ব্যথা দূর করতে গতিশীলভাবে শক্তিশালী চাপ দেওয়া হয়। এটা পা ও বাহুর পেশি কার্যকরভাবে পাম্প করে, যা নির্দিষ্ট অঙ্গের রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে ব্যথা কমিয়ে দেয়।
২. গ্র্যাডিয়েন্টস: শিরা ও লিম্ফ্যাটিক ভ্যাসেলে (পাতলা প্রাচীরযুক্ত ভালভ কাঠামো, যা লসিকা বহন করে) একমুখী ভালভ থাকে, যা ফ্লুইডের (অভ্যন্তরীণ তরল) বিপরীতমুখী গতি নিয়ন্ত্রণ করে। একইভাবে নরমাটেক পালস প্রযুক্তি ফ্লুইডকে সঠিক দিকে ধরে রাখে, যা একধরনের বাড়তি চাপ তৈরি করে। এতে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের প্রতিটি অংশে সর্বোচ্চ চাপ দেওয়া যায়।
৩. ডিসটাল রিলিজ: দীর্ঘ সময় ধরে চাপ প্রয়োগের ফলে নির্দিষ্ট ওই অঙ্গের স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালনের গতিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই ধাপে এসে প্রতিটি অঙ্গ বিশ্রামের সুযোগ পায়।
মূলত এই চিকিৎসাপদ্ধতিতে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দ্রুত ব্যথা উপশম করা হয়। তবে শুধু ব্যথা নয়, আঘাত পাওয়া জায়গায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা, ফোলা কমানো, ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু পুনর্গঠনসহ ক্র্যাম্প কমানো, হাত ও পায়ের সংযোগস্থল নমনীয় করা, অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরে জমা হওয়া ল্যাকটিক অ্যাসিডও দূর করা যায় এই চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মূলত ক্রীড়াবিদ বা খেলোয়াড়দের যেকোনো আঘাত দ্রুত সারিয়ে মাঠে তাঁদের শারীরিক পারফরম্যান্স ফিরিয়ে দিতে এই চিকিৎসাপদ্ধতি ক্লিনিক্যালি পরীক্ষিত।
নরমাটেক কমপ্রেশন বুট ব্যবহার করে চোট কাটিয়ে নেইমার দ্রুত বিশ্বকাপের মাঠে ফিরবেন, সারা বিশ্বের ফুটবল-ভক্তরা নিশ্চয় এখন এটাই প্রার্থনা করছেন।