স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।
ভোলায় দাবীকৃত চাঁদার না দেওয়ায় ভাইয়ের বসত বাড়িতে হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগষ্ট) সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের উত্তর বাপ্তা গ্রামের সালে আহমেদ মাষ্টার বাড়িতে এ হামলা ঘটনা ঘটে। খাইরুল আলম বাসু (৫০) এর উপর তারই ভাই সরোয়ার আলম রাজু ও নুরে আলম মোর্শেদ এই হামলা চালায়। এতে খাইরুল আলম বাসু গুরুত্ব আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাইরুল আলম বাসু বলেন, আমার ভাইদের সাথে পূর্ব থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আমি দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ ডিস ক্যাবলের ব্যবসা করে আসছি। এই ব্যবসায় আমার ভাই নুরে আলম মোর্শেদ অংশীদার হিসেবে থাকতে চাইলে তাকে অংশীদার হিসেবে না নেওয়ায় সে বিভিন্ন সময় নানাভাবে আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি ও হুমকি দিয়ে আসছে। আমি তাদের হুমকিতে বেশ কয়েকবার প্রায় ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে পূনরায় আমার ভাই সরোয়ার আলম রাজু, মোর্শেদ, আমার বাড়িতে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা আমাকে বাড়িতে থাকতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। এ সময় আমি তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাজু ও মোর্শেদ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার বাড়িতে ভাংচুর চালায়। বাধা দিলে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মোর্শেদ, রাজু বাহিনী। ভাতিজী রুপা দেশিও অস্ত্র দা নিয়ে আসলে আমার ভাই রাজু আমার উপর দা দিয়ে আঘাত করলে আমার হাত কেটে যায় তাতে ১৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ সময় আমার ঘরের ওয়ারড্রব ভেঙে নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোলা সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানান তিনি।
অভিযুক্ত সরোয়ার আলম রাজু ও নুরে আলম মোর্শেদ বলেন, এ রকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। তারা অভিযোগ করে বলেন, মূলত সুপরির বাগান টাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।