মাঠপর্যায়ে এসি ল্যান্ডদের (সহকারী কমিশনার ভূমি) মাধ্যমে এ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে খতিয়ানের ছোটখাটো ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য ভূমির মালিককে দেওয়ানি আদালত ও ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এতে ভূমিসংক্রান্ত জনদুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে। এ ছাড়া পরিপত্রটি পড়ে জমির মালিকেরাও সহজে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পেতে পারেন।
২০১৫ সালে খতিয়ানের ভুল সংশোধনবিষয়ক একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। নানা জটিলতার কারণে মাঠপর্যায়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সহজ ছিল না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই পরিপত্র জারি করতে নির্দেশ দেন, যাতে পরিপত্রটিই উদাহরণ হিসেবে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যবহার করতে পারেন।
পরিপত্রে বিভিন্ন আইনের সূত্র উল্লেখ করে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভূমি জরিপের পর চূড়ান্তভাবে মুদ্রিত ও প্রকাশিত খতিয়ানের করণিক ভুল, প্রতারণামূলক লিখন এবং যথার্থ ভুলের বিভিন্ন সম্ভাব্য ধরন বর্ণনা করা হয়েছে পরিপত্রে। এসব ভুল সংশোধনের পদ্ধতিও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যেন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা সহজেই সাত পৃষ্ঠার পরিপত্রটি থেকে রেফারেন্স গ্রহণ করতে পারেন।
পরিপত্রে রেকর্ড সংশোধের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়ার ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আবেদনকারীকে আবেদনের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কোর্ট ফি সংযুক্ত করতে হবে। অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করার সিস্টেম চালু হলে তা নির্ধারিত সরকারি হিসাবে সরাসরি দেওয়া যাবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মিসকেসে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ হওয়ার পর আবেদনকারীর কাছ থেকে নামজারি মামলার জন্য নির্ধারিত হারে নোটিশ জারি ফি, রেকর্ড সংশোধন বা হালকরণ ফি এবং খতিয়ান সরবরাহ ফি একত্রে ডিসিআরের মাধ্যমে আদায় করতে হবে। আর তা যথারীতি সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। তবে জেলা প্রশাসক বা তাঁর প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদনে কোর্ট ফি কিংবা অন্যান্য ফি আদায় প্রযোজ্য হবে না।