ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম :: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নেতারা উচ্চ পর্যায়ের সফরসহ নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদলুকে দেয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, উভয় দেশের নেতারাই এরইমধ্যে একে অপরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং উভয় দেশেরই এখন দ্রুত নিজেদের মধ্যে বিনিময় নিয়ে কাজ করা উচিত।
গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর ইমরান আহমেদ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। কোভিড মহামারির মধ্যেও দুই দেশের কর্মকর্তা ও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবসা ও রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে একাধিক সম্মেলন হয়েছে। ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়া ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ ইকোনোমিক রিলেশন: ফিউচার কো-অপারেশন’ শীর্ষক এক সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা এবং বিশেষজ্ঞরা কৃষি ও পোশাকসহ অন্য ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক লাভের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। ইমরান আহমেদ নিজেও ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যেকার বানিজ্য ও কো-অপারেশনের সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সুত্র মানবজমিন
তিনি বলেন, ব্যবসা, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, চিত্রকলা, সাহিত্য ও পর্যটনসহ অনেকগুলো ক্ষেত্রে রয়েছে যেখানে একসঙ্গে কাজ করলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তার মনে হয়েছে, উভয় পক্ষ থেকেই বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তিশালী আগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশকে পাকিস্তানি পণ্যের অন্যতম প্রধান গন্তব্য বলে উল্লেখ করে ইমরান আহমেদ বলেন, ২০২০-২১ সালে দুই দেশের মধ্যে ৭২১.৬১ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এরমধ্যে শুধু পাকিস্তানই রপ্তানি করেছে ৬৫৯.২১ মিলিয়ন ডলার। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে দেশটি আমদানি করেছে ৭১.৪৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নাবিল ইসা বলেন, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং পাকিস্তানের সহায়তায় এই ক্ষাতকে আরো সম্ভাবনাময় করা সম্ভব।
বর্তমানে পাকিস্তান বাংলাদেশে যেসব পণ্য রপ্তানি করতে চায় তারমধ্যে রয়েছে, সুতা, তুলা, চামড়া, ফ্যাব্রিক, অজৈব রাসায়নিক, শাক-সবজি ও ইলেকট্রনিক্স। তবে ইমরান আহমেদ চাচ্ছেন সম্পর্ক আরো বেশি এগিয়ে নিতে। তিনি বলেন, উভয় পক্ষই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যখাত, এসএমই ও পর্যটনসহ আরো অনেক দিকে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে পারে। কৃষি নিয়ে যৌথ গবেষণা থেকে উভয় দেশই সফলতা পেতে পারে।
ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সবসময় স্থিতিশীল ছিল না। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে হয়তো কিছু সমস্যাও রয়েছে। তবে এখন দুই দেশের নেতারাই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী।
(তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে অনূদিত)