তজুমদ্দিনে মরন ফাঁদ

0
36

মো: আফজাল হোসেন,তজুমদ্দিন থেকে ফিরে :: ভোলার তজুমদ্দিনেরর সী-ট্রাক ঘাট নয় যেন মানুষের মরন ফাঁদ। একপাশে পন্টুন অপর পাশে মেঘনার পানি আর মাঝ খানের জেটি কোনই উপকারে আসছে না সাধারন মানুষের। অথচ ঘাটের টোল থেকে মুক্তি নেই যাত্রীদের। কর্তৃপক্ষ বলছে প্রজেক্টে যা ছিলো,তাই করেছি কিছুই করার নেই।

 

ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ স্লুইজগেট সী-ট্রাক ঘাট। দীর্য দিন ধরেই এটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অথচ প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই স্থান দিয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনুপরাতে আসা যাওয়া করে। সমস্যা হচ্ছে পন্টুর আছে এবঙ জেটিও আছে নেই পন্টুন থেকে জেটিতে যাওয়া এবঙ জেটি থেকে রাস্তায় আসার কোন ব্যবস্থা। সরকারী প্রকল্পে ধরা তাই দায়সারা ভাবে এটুকু কাজ করেই শেষ। অথচ ইজারাদার নিয়মিত টোল আদায় করে যাচ্ছেন। টাকা না দিলে হয়রানীর যেন শেষ নেই। পন্টুনে যাবার জন্য কোন রাস্তা বা সিড়ি না থাকায় সী-ট্রাক থেকে পন্টুনে নেমে পুনরায় ট্রলারে করে পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের।

 

মনপুরা থেকে আসা যাত্রী মোঃ সোলাইমান ও হাফিজা বিবি বলেন,আমার শিশু সন্তান নিয়ে কি ভাবে রাস্তায় যাব। টাকা যা ছিলো,তা সী-ট্রাকের ভাড়া দিয়েছি। ট্রলার ভাড়া দিব কি ভাবে। পরবর্তীতে তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে ডুবন্ত পথ ধরেই কোন মতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে উঠে রক্ষা। একই ভাবে চরম ক্ষোভ মটরসাইকেল নিয়ে আসা হরি দাসের। তার মতে পন্টুন আছে রাস্তা নেই। জেটি আছে উঠার ব্যবস্থা নেই। এ কেমন অবস্থা। পরবর্তীতে স্থানীয় লেবারদের সহযোগীতায় মটরসাইকেল পার করা হলো অত্যান্ত ঝুকিপুর্ন অবস্খায়।

শুধু তিনি নন একই ধরনের দুর্ভোগ হয়েছে এই প্রতিবেদসহ বেশ কয়েকজনের। প্রায় কোমড় সমান পানি পাড় হয়ে ঝুকি নিয়ে মটরসাইকেল পাড় করতে হয়েছে। সী-ট্রাক যাত্রী ইমতিয়াজুর রহমান ও গোলাম কিবরিয়া বলেন,এটা রাস্তা নয় যেন মরন ফাঁদ। উন্নয়ন এখন পানির নিচে। ঘাটের অনেক কিছুই এখন পানির তোরে ভেঙ্গে কোথায় গেছে তা বলতে পারে না কেউ। স্থানীয়রা বলেন,কোন মতে কাজ করেই চলে গেছে। যা করেছে তা ঠিকবে না খোনে।

 

এদিকে ঐ সী-ঘাট ঘাটের ইজারাদার মোঃ সবুজ তালুকদার বলেন,আমি এক বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি। রাস্তা নেই। নানান ধরনের সমস্যা। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চিঠি দিচ্ছি কোন লাভ হচ্ছে না। সাধারন মানুষের এই দুর্ভোগ নিয়ে যেন কারো মাথা ব্যাথা নেই।

 অপরদিকে বিআইডব্লিউটি বরিশাল অঞ্চলের প্রকল্পর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন উর রশিদ বলেন,ভোলার মধ্যে হাকিম উদ্দিন ও তজুমদ্দিনের সী-ট্রাক ঘাট দুটি প্রকল্পের আওতায় ছিলো। ভোলার দ্বায়িত্বে যে পোর্ট অফিসার রয়েছে তার কথা অনুযায়ী এখানে দেয়া হয়েছে।

আমার কাজ হচ্ছে কাজ শেষে তা বুঝে নেয়া। সিডিউলে যা ধরা ছিলো তাই বুঝে নিয়েছি। এর বাহিরে আমার কিছু করার নেই। রাস্তা স্থানীয় ভাবে করে নেয়ার কথা রয়েছে। তবে আমি সরেহজমিন গিয়ে দেখবো কি করা যায়। তবে পন্টুন থেকে যাতে জেটিতে আসা এবং নামা যায় তার ব্যবস্থা আমি করে দিবে। রাস্তা স্থানীয় ভাবে করতে হবে।

LEAVE A REPLY