তুরস্ক নিজেদের তৈরি চালকবিহীন ইলেকট্রিক বাসের পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানায়, সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের উপস্থিতিতে এ পরীক্ষা চালানো হয়। এ সময় তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা বারানকও উপস্থিত ছিলেন। আতাক ইলেকট্রিক নামের বাসটিতে বিএমডব্লিউ ২২০-কেডব্লিউএইচ লি-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। দুই চার্জের মাঝামাঝি সময়ে এটি ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ দশমিক ৪ মাইল) পর্যন্ত রেঞ্জ অতিক্রমে সক্ষম। সরাসরি কারেন্টে চার্জ হতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টা। ২৭ দশমিক ২ ফুট (৮ দশমিক ৩ মিটার) দৈর্ঘ্যের বাসটিতে ৫০ যাত্রী বসতে পারবেন। গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কারসান জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক উৎপাদন শুরু করেছে।
এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, এসব বাস উৎপাদনকারীরা বিশ্বজুড়ে তুরস্ক এবং তুর্কি ব্র্যান্ডের সুনাম বৃদ্ধি করবে। গত মাসেই নিজেদের তৈরি ইলেকট্রিক বাসের পরীক্ষা চালায় তুরস্কের আরেক প্রতিষ্ঠান অটোকার। অপরদিকে সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে উন্নত করছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্প দফতরের (এসএসবি) প্রধান ইসমাইল দেমির এক টুইট বার্তায় এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এফ-১৬ ব্লক ৩০ বিমানের অবকাঠামোগত উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। এ প্রকল্পে, প্রতি বিমানে এক হাজার দুইশ’ থেকে এক হাজার পাঁচশ’ কাঠামোগত উপাদান নতুন করে তৈরি, সংস্কার ও প্রতিস্থাপনের কাজ করা হবে। প্রয়োজনে পুরো অবকাঠামোর পরিবর্তন করা হবে।’ দেমির জানান, তুসাশ ইঞ্জিন ইন্ডাস্ট্রিজের (টিইআই) তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তুরস্কের সামরিক বাহিনী এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে আট হাজার ঘণ্টা থেকে ১২ হাজার ঘণ্টায় নিয়ে যাওয়া হবে। টার্কিশ অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (টিএআই) ও এসএসবির যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তুরস্ক টিএফ-এক্স ন্যাশনাল কমবেট এয়ারক্রাফট (এমএমইউ) প্রকল্প চালিয়ে আসছে, যার মাধ্যমে ২০২৯ সালের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইঞ্জিন দিয়ে প্রথম বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এমএমইউ প্রকল্পের অধীন পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করা হচ্ছে। লকহিড মার্টিনসের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের আদলে তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিমান ২০৩০ সালের পর থেকে দেশটির বিমান বাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে। সূত্র : ডেইলি সাবাহ।