শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান “শাইনিং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট” 

0
289

বিশেষ প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। দৈনন্দিন জীবনে আমরা পেশাগত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি। এই সকল ব্যস্ততার মাঝেও আমরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, প্রতিষ্ঠানিক ও কর্পোরেটসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু এসব অনুষ্ঠান করতে আমাদের অনেক জামেলা পোহাতে হয়। কেননা অনুষ্ঠান করতে অনেক ধরনের মালামাল এবং জনবলের প্রয়োজন হয়।

ব্যস্ততার কারনে এইসব মালামাল ও জনবল ব্যবস্থা করতে অনেক সময় দুশ্চিন্তায় পরতে হয়। এমন দুশ্চিন্তা আর ঝামেলার কথা মনে করে দুই তরুন উদ্যোক্তা বাজারে নিয়ে এসেছে “শাইনিং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট”।যেখানে এক সেন্টারেই রয়েছে যে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের উপকরন ও জনবল।
গত বছর অনানুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে “শাইনিং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট”।ভোলার দুজন শিক্ষিত উদীয়মান তরুণ উদ্যোক্তা  এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানটি শুরু করে।
কোনো আনুষ্ঠানিক যাত্রা, লিফলেট বিতরণ এবং পোস্টারিং ছাড়া শুরু করলেও প্রতিষ্ঠানটি ভোলাসহ দেশের অনেক জেলায় ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে।
সাধ্যের মধ্যে সুশৃঙ্খল  এবং চাকচিক্য কাজের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনার অর্জন করেছে।প্রতিষ্ঠানটি সংসদের স্পিকার, তারকা শিল্পী, মন্ত্রী  এবং এমপিদের আমন্ত্রিত অনুষ্ঠানগুলোও বাস্তবায়ন করে প্রসংশিত হয়েছেন।
উদীয়মান তরুণ উদ্যোক্তা সুমন মুহাম্মাদ ও এম শরীফ আহমেদ শিক্ষিত বেকারদের কথা চিন্তা করেই আর বর্তমান সময়ের স্মার্ট পেশা হওয়ায় এটি বেঁছে নিয়েছেন।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ফুলটাইম দুই জন এবং পার্টটাইম  প্রায় ৩০০ লোক কাজ করে।তারা মনে করছেন আগামী ৫বছরে তাদের এই প্রতিষ্ঠানে ফুলটাইম ৫০জন লোক এবং পার্টটাইম ২হাজার লোক কাজ করতে পারবে।
“শাইনিং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের” প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা সুমন মুহাম্মাদ বলেন,শুধু বিজনেস করার জন্যই এখানে আসিনি। শিক্ষিত বেকারদের একটা মেসেজ দিতেই বিজনেসে এসেছি। আমাদের এখানে বেশিরভাগ  কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে থাকে।এতে তারা কিছুটা হলেও পকেট খরচ মিটাতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শরীফ আহমেদ বলেন, “চাকরি করবো না, চাকরি দেবো”মূলত এই শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য আমরা দেশের বেশ কিছু শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা উদ্যোক্তা হয়েছি। বেকারত্বের অভিশাপ থেকেই মুক্ত করার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দেখে অন্যান্য তরুণ-তরুণীরা এগিয়ে আসলে, আমার মনে হয় এদেশে আর বেকারত্ব থাকবে না।

LEAVE A REPLY