মেঘনা ও তেতুলিয়ার ১৯০কিলোমিটারে দু’মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

0
196

মো: আফজাল হোসেন।। আজ (১মার্চ) থেকে টানা দুই মাস (মার্চ-এপ্রিল) ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা, বিক্রয়, পরিবহণ ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।

মৎস সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০-এ সংযোজিত ১৩নং ধারার অনুকুলে মৎস অধিদপ্তর ছোট মাছ সংরক্ষনের জন্য ২০০৫ সালে এ আইন জারি করে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সাধারণ জেলেদের পুনঃবাসনেরও ব্যবস্থা করবে সরকার।

মৎস অধিদপ্তরের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে প্রতি বছরের ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুর ষাটনল থেকে শুরু করে ভোলা লক্ষিপুর ও নোয়াখালি হয়ে চর পিয়ালের মেঘনা নদীর প্রায় ৯০কিলোমিটার এলাকা। ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকার সকল প্রকারের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ সময়ে উপজেলা প্রশাসন, মৎস অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও পুলিশ এসব মৎস অভয়াশ্রমসমূহে নিয়মিত যৌথ টহলের ব্যবস্থা করবেন। আইন লঙ্ঘন করে কেউ মাছ ধরলে মাছ, জাল ও নৌকাসহ সকল মাছ ধরার সরঞ্জামাদি বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে। এছাড়াও আইন অমান্যকারীর এক হতে দুই বছর জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করারও বিধান রয়েছে। শুধু তাই নয় এসব এলাকায় সকল ধরনের বরফকল বন্ধ থাকবে।

নিষিদ্ধ সময়ে জেলে পূনঃবাসন হিসেবে প্রতি জেলেকে মাসে ৪০ কেজি হারে ৪ মাস চাল প্রদান করবে সরকার। এক জেলে পরিবার ১৬০কেজি করে চাল দিবে সরকার।

এবিষয় ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুম্মান বলেন,মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এজন্য আমরা ব্যাপক প্রচার-প্রচরানা চালিয়েছি। আশা করছি জেলে,আড়ৎদারসহ সকলেই আমাদের সহযোগীতা করবে। যারা আইনকে অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনিন।

LEAVE A REPLY