ভোলায় অন্তঃসত্বা গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে মারধর ॥ মামলা দায়ের

0
240

লালমোহন:  ভোলার লালমোহনে কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্বা গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধু কলেজ ছাত্রী বিবি মরিয়মকে মারধর করে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দেয় পাষ- স্বামী মনির হোসেন। এ ব্যাপারে ভোলার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভোটের ঘর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাসিন্দা দিনমজুর মোঃ আমির হোসেন কুট্টির মেয়ে কলেজ ছাত্রী বিবি মরিয়মকে ১০ মাস আগে লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মধুছন্দা সিনেমা হল রোডের বাসিন্দা এনতাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মোঃ মনির হোসেনের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়। বিবাহের সময় যৌতুক হিসেবে হোন্ডা কেনার জন্য দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয় মনির হোসেনকে। এছাড়াও ফার্নিচারের মালামালও দেওয়া হয় মনিরকে। এতেও সন্তুষ্ট হয়নি ফ্যামিলিয়া কোম্পানির ভোলার এরিয়া ম্যানেজার মনির হোসেন। বিয়ের পর থেকে মরিয়মকে স্বামী মনির ও তার মা বিবি ছালেহা বেগম যৌতুকের জন্য মারধর করতো। মেয়ের সুখের জন্য মরিয়মের মা ইয়ানুর বেগম বিভিন্ন এনজিও ও পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে মনিরকে টাকা দিতো। মাঝে মধ্যে টাকা দিতে না পাড়লে স্বামী মনির হোসেন ও শ্বাশুরী সালেহা বেগম অন্তঃসত্বা মরিয়মকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো। কয়েকবার আহত অবস্থায় মরিয়মকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। আমাকে সালেহা বেগম এসিড দিয়ে মরিয়মকে ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে কলেজ ছাত্রী মরিয়ম তার বাপের বাসা চলে আসে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ ব্যাপারে একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করেও মনির হোসেনকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্বা বিবি মরিয়ম ভোলার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্বা  বিবি মরিয়ম বলেন, আমার বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে হোন্ডা কেনার জন্য দেড় লাখ ও ফার্নিচার কেনার জন্য ১ লাখ টাকা স্বামী মনির হোসেনকে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে সে আমার কাছে বিভিন্ন সময় যৌতুক চায়। আমি সংসারের সুখের জন্য বাপের বাড়ী থেকে যখন যা পারতাম নিয়ে দিতাম। যখন দিতে ব্যার্থ হতাম তখন আমার স্বামী মনির হোসেন ও শ্বাশুরী সালেহা বেগম আমাকে মারধর করতো। আমাকে এসিড নিক্ষেপ করে মেরে ফেলার হুমকি দিতো এবং আমাকে মারধর করতো। পরে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, গত কোরবানী ঈদের সময় আমার শ্বাশুরী মরিয়মকে বেড়ানোর কথা বলা নিয়ে যায়। পরে আমি আমার স্ত্রীকে আনতে গেলে আমাকে ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব করে এবং মরিয়মকে লালমোহনে আর দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। আমি বহুবার আমার স্ত্রীকে আনার চেষ্টা চেষ্টা করলে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে অপমান করে। আমি প্রতিনিয়ত আমার স্ত্রীর খোঁজ খবর নেই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

LEAVE A REPLY