সোহেব চৌধুরী চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।।ভোলার চরফ্যাশনে ঢাকার কামরাঙ্গীচরের সোনা চুরি মামলার আসামি আটক হয়েছেন। আব্দুল্লাহপুর ৩নং ওয়ার্ডের মিনু পাটওয়ারি বাড়ির আলমগীর পাটওয়ারির ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (৩০) কে ২৬ আগস্ট সোমবার সকালে কামরাঙ্গীরচর ও চরফ্যাশন থানাপুলিশ গ্রেপ্তার করেন। খোঁজ নিয়ে যানা যায় ২৬ আগস্ট রাত ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই কামরুল ইসলাম ও চরফ্যাশন থানা পুলিশের নেতৃত্বে আসামি আরিফের চরফ্যাশন পৌর ৮নং ওয়ার্ডের স্বশুরালয় ও আব্দুল্লাহপুরের নিজ বাসভবনে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় আব্দুল্লাহপুরে তার ঘরে থাকা একটি প্লাস্টিকের কৌটা থেকে কিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান চরফ্যাশন থানার এক কর্মকর্তা। কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই কামরুল ইসলাম স্থানিয় সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে জানান, কিছু টাকা ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে, আমরা তদন্তের প্রয়োজনে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকার সঠিক পরিমানটা বলতে পারবোনা তবে আসামি আরিফের মা বাকি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ঢাকায় আসতেছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা। কামরাঙ্গীরচর থানার জুয়েলারি ব্যাবসায়ী জসিম উদ্দিনের দায়েরকৃত মামলার দায়িত্বে থাকা এ পুলিশ কর্মকর্তা স্থানিয় সংবাদ কর্মিদের সঠিক তথ্য না দিয়ে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ করে ধোয়াসার সৃষ্টি করেছেন বলেও জানান স্থানীয় একাধিক সংবাদকর্মি। এদিকে আব্দুল্লাহপুরের একই বাড়ির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশিরা বলেন, ভোররাতের ঐ অভিযানের পর আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করে আমাদের বাড়ির সকলকে ৬টি সোনার বিস্কিট দেখিয়েছেন আভিযান পরিচালনাকারি পুলিশ সদস্যরা। একাধিক সূত্র বলছে আসামি আরিফের কাছ থেকে ১৬টি সোনার বারের ৬টি উদ্ধার করা হয়েছে। চরফ্যাশন থানা সূত্রে যানা যায়, আসামি আরিফ কামরাঙ্গীরচরে জুয়েলারি ব্যাবসায়ি জসিম উদ্দিনের দোকানের কর্মচারি ছিলেন। এবিষয়ে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন বলেন, আসামি আরিফকে কামরাঙ্গীরচর থানার এসই কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে গেছেন, এবিষয়ে ব্যাবসায়ি জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় চলতি মাসের ১৯ তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৩৩ পেনাল কোড ধারা ৩৮১।