ভোলার নিষিদ্ধ জোন মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে চলছে মাছ ধরার উৎসব

0
467

মো: আফজাল হোসেন ।। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে চলছে মাছ ধরার উৎসব। দাম চড়া হওয়াতে জীবনের ঝুকি নিয়ে মাছ স্বিকারে জেলেরা আর বিক্রিও হচ্ছে প্রকাশ্যেই। নদীতে কোস্টগাড,নৌ-পুলিশ এবং মৎস্য অফিসসহ প্রশাসনের অভিযান একটু শিথিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আগামী ১৪ এপ্রিল বাঙালি জাতির জন্য একটি বিশেষ দিন। নতুন বছর বরনের জন্য এই দিনে সব সময়ই থাকে নানান ধরনের উৎসবের আয়োজন। এসব আয়োজনের মধ্যে পান্তা ইলিশ না থাকলেই নয়। তাই ইলিশের দামটাও থাকে সেই রকম। তাই অভিযানের কিছুটা শিথিল দেখইে জাল হাতে নেমে পড়ে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর জেলেরা। যদিও মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস মেঘনা এবং তেতুলিয়া  নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকার কথা থাকলেও প্রতিদিন শত শত নৌকা আর ট্রলার নিয়ে জেলে দিনের বেলাতেই প্রকাশ্যে মাছ ধরেই যাচ্ছে।

সরেজমিন ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় শত শত জেলে নৌকা নিয়ে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এই সময়টাতে মাছ ধরার উপর সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা বুঝার কোন উপায় নেই। জেলেদের আনাগোনা এতটাই বেশি যে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা মানার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ ভোলার ইলিশা মেঘনা নদীর পাড়ে রয়েছে কোস্টগার্ড এর একটি হাইস্প্রিড বোর্ড।

একই অবস্থা মাছ ঘাট গুলোর। সেখানে প্রকাশ্যেই হাকডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ। শুধু তাই নয় এসব বিষয় প্রশাসনকে জানালেও তারা রিতিমত এরিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এখন এসব কাজের জন্য কোস্টগার্ড,নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অফিস ও জেলা প্রশাসন থাকলেও তাদেরকে দেখা মিলছে না। আবার কোস্টগার্ড এর বোর্ড মেঘনা নদীর পাড়ে থামিয়ে রাখতে দেখা মিল্লেও কোন ততপড়তা দেখা যায়নি। শুধু কোস্টগার্ড নয় ইলিশা মেঘনা নদীর পাড়েই রয়েছে নৌ-পুলিশে ফাঁড়ি। তাদেরকে দেয়া মিলে না নদীতে অভিযান চালাতে। অথচ প্রায় প্রতিদিন ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে বড় বড় ঝুড়িতে বোঝাই করে ইলিশ ঢাকা যাচ্ছে। আর এসব বিষয় কোস্টগার্ড এবং নৌ-পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। রিতিমত তারা এসব বিষয় এরিয়ে যাচ্ছেন। সাধারন জেলেরা বলছেন সামনে বাঙালীদের পহেলা বৈশাখ। তাই এই সময়টাতে ইলিশের দাম সব সময়ের চেয়েই চড়া। যে কারনে আমরা জীবনের ঝুকি নিয়েই মাছ স্বিকার করছি।

এদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরার বৃদ্ধি ও বাজারে প্রকাশ্যে মাছ বিক্রির কথা স্বিকার করে ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান এসব মাছ ধরার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়ী করে বল্লেন,তাদের অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলে জানালেন। এছাড়া তুল ধরেছেনে জেলে,জাল ও মাছ আটকের কথা।

অপরদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন,নিয়মিত ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলেদেরকে জেল জরিমানা দেয়া হচ্ছে। যাতে মাছ ধরতে না পাড়ে সেদিকে খেয়াল দেয়ার জন্য সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY