মোঃ আফজাল হোসেন ॥ ১মার্চ শুক্রবার থেকে টানা দুইমাস (মার্চ-এপ্রিল) ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা, বিক্রয়, পরিবহণ ও মজুদ বন্ধ থাকবে। মৎস সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০-এ সংযোজিত ১৩নং ধারার অনুবলে মৎস অধিদপ্তর ছোট মাছ সংরক্ষনের জন্য ২০০৫ সালে এ আইন জারি করে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সাধারণ জেলেদের পূনঃবাসনেরও ব্যবস্থা করবে সরকার।
মৎস অধিদপ্তরের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মৎস অভয়াশ্রম হিসেবে প্রতি বছরের ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদী ও শাহবাজপুর শাখা নদীর প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকা এবং ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকারের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নি¤œ অববাহিকার প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায়ও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
এ সময়ে উপজেলা প্রশাসন, মৎস অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও পুলিশ এসব মৎস অভয়াশ্রমসমূহে নিয়মিত যৌথ টহলের ব্যবস্থা করবেন। আইন লঙ্ঘন করে কেউ মাছ ধরলে মাছ, জাল ও নৌকাসহ সকল মাছ ধরার সরঞ্জামাদি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়াও আইন অমান্যকারীর এক হতে দুই বছর জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন মাছঘাট সমূহে গত কয়েকদিন ধরেই এবিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মৎস বিভাগের লোকজন। এসব এলাকার সকল বরফ মিল মালীকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বরফ তৈরি বন্ধ রাখতে। তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জেলেদের নিয়ে সচেতনতামুলক সভার আয়োজন করেছেন। নিষিদ্ধ সময়ে জেলে পূনঃবাসন হিসেবে প্রতি জেলেকে মাসে ৪০ কেজি হারে ৪ মাস চাল প্রদান করবে সরকার।
ভোলা সদও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্মা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, ছোট মাছ সংরক্ষণ করা না হলে ভরা মৌসুমে মাছের সংকট দেখা দিতে পারে। সে জন্য মৎস অভয়াশ্রম সমূহে দুইমাস মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধান আছে। এজন্য সরকার চার মাস পর্যন্ত জেলেদের পূর্নঃবাসনের ব্যবস্থা করবে। ৭হাজার ১৯৬ জন জেলে পূর্নঃবাসনের বরাদ্ধের চাল ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য তজুমদ্দিন উপজেলায় মোট নিবন্ধীত জেলের সংখ্যা ১৮হাজার ৪শত ৮৫ জন।