ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : রাজধানীর খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে তা সামান্য, কেজিতে এক থেকে দুই টাকা। তাই চালের দাম নিয়ে ক্ষোভ কাটেনি সাধারণ ভোক্তাদের।
গত দুই দিনে খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে সব ধরনের চালের দাম কমেছে এক থেকে দুই টাকা। মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আর মিনিকেটের কেজি এখন ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা। তবে কিছুটা কমে চাল কেনার আশায় অনেকেই আবার ভিড় করছেন পাইকারি বাজারে। চড়া বাজারে তাই দরকষাকষি রূপ নিচ্ছে তর্ক-বিতর্কে। যেখানে হারতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদেরই।
ভোক্তারা বলছেন, ৭০ টাকার চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা ছিল, সেই তুলনায় তো দাম কমেনি। চালের যে ঊর্ধ্বমুখী দাম, সেটা আদৌ কমবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। এক ক্রেতা বলেন, ১০০ টাকা কেজি হলেও তো ছাড়া যাবে না, খেতে তো হবেই তাঁদের।
চাল কিনতে আসা এক নারী বলেন, ‘আগে দুই হাজার টাকা দিয়ে (এক বস্তা) চাল কিনতাম, এখন এটা ৫০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। ওই ৫০০ টাকা দিয়ে কাঁচাবাজার হয়ে যেত।’
পাইকাররা বলছেন, সব ধরনের চালের দাম পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই খুচরা বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান তারা।
এক পাইকার বলেন, ‘চাল আমাদেরকে খেতেই হবে। সেই দিক থেকে বাজারটা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তাহলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সুবিধা হবে।’
বাজারে বিদেশি চালের সরবরাহ বাড়লে দেশি চালের দামও কিছুটা কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।