ভোলায় জিও-এনজিও সমন্বয় সভায় বক্তারা –
আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ॥
বাল্য বিয়ে মুক্ত ভোলা জেলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা ও এনজিওদের নিয়ে মাসিক (জিও-এনজিও) সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রয়ারি) সকালে শিশু বিবাহ বন্ধে কোস্ট ট্রাস্টের সমন্বিত শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম আইইসিএম প্রকল্পর সহযোগিতায় জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আয়োজনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হল রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো: ইকবাল হোসেন এর সভাপত্বিতে আলোচনায় অংশ নেয় -কোস্ট ট্রাস্ট এর (আইইসিএম) প্রকল্পের প্রকল্প সমন্ময়কারী মিজানুর রহমান,ভোলা ব্রাক প্রতিনিধি মো: আশরাফুল আলম,আইইসিএমপ্রকল্পের সহকারী প্রকল্প সমন্ময়কারী দেবাশীষ মজুমদার, এডভোকেসি ও মিডিয়া অফিসার আদিল হোসেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর প্রেগাম অফিসার চামেলী বেগম,ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল এর প্রেগাম অফিসার দীপংকর দেব,জাগোনারী প্রকল্প কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন ডেভিট,উপজেলা মনিটরিং অফিসার মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন-বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। তবে আসার কথা হলো বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ রোধের জন্য বর্তমান সরকার বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। রয়েছে কঠোর আইনও। তারপরও অনেকে পরিবারই বাল্য বিয়ে দিয়ে চলেছে। মানুষ এর কুফল সম্পর্কে যানে তার পরেও কন্যা শিশুদের বাল্য বিয়ে দিচ্ছে। এখন প্রশাসনের অগোচরে স্থানতরিত হয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে কাজীর পরিবর্তে মসজিদের হুজর ঠেকেনিয়ে মেয়েদের বিয়ে পড়াচ্ছে। অনেক সময় প্রশাসনের বয়ে বিয়ে রেজিস্টেশন করেনা। ফলে আমাদের কিশোরী বুধূরা ঝুঁকিত মধ্যে থাকে। মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অল্প বয়সে শিশুরাই শিশুদের মা হচ্ছে। ফলে মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকে কিশোরীরা। এর জন্য সরকার বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ অনুসারে বাল্য বিয়ে প্রদানকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এর ফলে অনেকাশেংই বাল্য বিয়ে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করেন বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন,বর্তমানে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সহায়তায় প্রশাসন খবর পেলে বাল্য বিয়ে বন্ধের ব্যাপারে এগিয়ে আসছেন। যার ফলে এই বাল্য বিয়ের হার ৬৬ শতাংশের থেকে কমে ৫৩ শতাংশ নেমে এসেছে। আগামীতে সরকার ও বেসরকারি সংগঠন গুলো একযোগে কাজ করলে এই হার আরো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানান।