মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক

0
271

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের কাছে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সঙ্গে বৈঠক করে এসব তথ্য তুলে ধরেন। এ সময়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ‍উপস্থিত ছিলেন।

আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় সকাল সাড়ে ১১টায়। বৈঠকে সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম-অভিযোগ তুলে ধরে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য জমা দেয়া হয়।

এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্মরণকালের সবচেয়ে মহাজালিয়াতি হয়েছে দাবি করে, ১১টি অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, লাখ-লাখ ভোটার সাহস করে ভোট দিতে গিয়েছিলেন কিন্তু তাদের অধিকাংশই ভোট দিতে পারেননি। কারণ নির্বাচনটি ছিল সম্পূর্ণ প্রহসন, প্রতারণা আর জালিয়াতিতে পরিপূর্ণ।

আজ (শুক্রবার) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, সরকার আর ইসির মিথ্যা আশ্বাসে সব দল নির্বাচনে এলো। কিন্তু পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, বিচার বিভাগ, সিভিল প্রশাসন, দুদক আর নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম নির্বাচন করে সরকার। দেশ ও জাতির প্রতি এতবড় প্রতারণা ও জালিয়াতির জন্য জনগণের আদালতে প্রকাশ্যে এগুলোর বিচার একদিন হবে।

রিজভী আহমেদ বলেন, সারাদেশে অধিকাংশ আসনের অনেক কেন্দ্রেই আগের রাতে ব্যালট দিয়ে বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়েছে। এ কারণে ভোটের দিন বহু কেন্দ্রে সকাল ১০/১১টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। হাজার-হাজার ভোটার ভোট দিতে এসেও ভোট দিতে পারেননি। কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণেও ছিল ধীরগতি। কারণ, শুরু থেকেই বাইরে থেকে ভোটার আসার সময় ভেতরে ব্যালটে সিল মারার কাজ চলছিল।

তিনি দাবি করেন, বহু কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। অনেককে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এরপর সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢোকানো হয়েছে। এ কাজে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল পুলিশ, ডিবি, আনসার ও স্থানীয় সিভিল প্রশাসন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রচারণায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি। নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলা, মামলা ও হয়রাণি করা হয়েছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এমনকি বিরোধী নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

LEAVE A REPLY