লালমোহনে আওয়ামী লীগ বিএনপি সংঘর্ষ,গাড়ীতে আগুন,গুলি আহত অর্ধশত

0
1673

মো: আফজাল হোসেন,লালমোহন থেকে ফিরে ।। ভোলার লালমোহনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘষ,মরসাইকেলে আগুন দেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকরাউন্ড গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। আহতদেরকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

থানা পুলিশ এবং প্রার্থীদের অভিযোগে জানাযায়,আজ বিকালে লালমোহনের উপজেলা সড়কে এ সংঘর্ষর ঘটনা ঘটে। পরে তা আশপাশের ছড়িয়ে পড়ে। মিছিল পাল্টা মিছিল আর স্লোগান দেয়া এবং মিছিল পাল্টা মিছিলকে কেন্দ্র করে হামলার সুত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষ এক পর্যায় আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সকলের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষের সময় মেজর হাফিজের বাসার সামনে তিনটি মটরসাইকেল ভাংচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন বেশ কয়েকরাউন্ড গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ, মেজর অব.হাফিজ উদ্দিন আজ লালমোহন আসলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি মিছিল করে এবং এসংঘর্ষর ঘটনার সুত্রপাত ঘটে।

অন্তত ২ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় একে অপরের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০জন আহত হয়েছে। এসময় মিছিল থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছোড়ার মত ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হয়নি।

আওয়ামী লীগ সমর্থকরা লালমোহন উপজেলার সামনে অপর একটি পক্ষ বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে অবস্থান করে। আর বিএনপির সমর্থকরা মেজর অব.হাফিজ উদ্দিন আহমদ এর উপজেলা সড়কের বাসার সামনে অবস্থান নেয়। গুলি আর ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনায় তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়ে সকলেরই মাঝে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দীর্য সময় চেস্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শেষ খবর পর্যন্ত লালমোহন ব্যাপক উত্তেজনার বিরাজ করছে। দুই পক্ষ দুই দিকে অবস্থান নিয়ে আছে। পাল্টাপাল্টি মহড়া দিচ্ছে দুই পক্ষ। তবে লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির এর নেতৃত্বের সকল পুলিশের ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়। তারা পুরো রাস্তায় ব্যাপক নিরাপত্তা দিয়েছে,যাতে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা না গটে। তার পরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি স্থানে।

লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। তবে গুলির খবর জানানেই। লোক মুখে শুনেছি। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য।

এদিকে বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন তারা বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করিয়েছে। নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসেছে ঢাকা দিয়ে। এসব সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে হুমকি দিচ্ছে আর দলে যোগদান করাচ্ছে। তবে তিনি বলেন,যারা ভয় আওয়ামী লীগের যোগ দিয়েছে তারা তাদের ঘরে ফিরে আসুক,তাদের জন্য সব সময় দরজা খোলা। আমরা সকলেই ভাই ভাই। তাই ঐকবদ্ধ ভাবে ধানের শীসের বিজয় নিশ্চিত করি। তজুমদ্দিনে তার গাড়ী ভাংচুর করে উল্টো তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলা দেয়ার সরযন্ত্র করছে বলে দাবী করেন।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন,মেজর হাফিজ নির্বাচন বানচাল করার জন্য ২০০১ সালের মত সরযন্ত্র শুরু করেছে। হেলমেট বাহিনী দিয়ে তার লোকজন ও পথচারীদের উপর হামলা করেছে। তার দলিয় লোকজনর হাতপা ভেঙ্গে দিয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় কয়েকজন হাসপাতালে এবং ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি ঢাকা থেকে ১থেকে দের হাজার সন্ত্রাসী নিয়ে এসেছে। এজন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের দৃস্টি আকর্ষন করেন।

LEAVE A REPLY