অমি আহমেদ,ভোলা নিউজ ২৪ডটনেট।। গ্রেনেড হামলার রায়কে স্বাগত জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ এক আনন্দ মিছিল করেন।
বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা আ. লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা আ. লীগের কার্যালয়ে শেষ হয়।মিছিল শেষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক বর্বরোচিত দিন। এদিন শুধু আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল তা নয়। এদিন এদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে দাবিয়ে দেয়ার চেষ্টাও করেছিল তারেক রহমানের মাষ্টারমাইন্ডে। যেমন করে তারা ১৫ আগস্টে জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিল তার বাবা। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও বিএনপি জামায়েত এদেশে কখনো স্থিতিশীল চায় না। এ রায় জনতার সংগ্রামের রায়। এটা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার রায়। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন তা না হলে আবারো ১৫ আগস্টের পরের মতো এদেশে এক কালো অধ্যায় রচিত হতো ইতিহাসের পাতায়।
তারেক রহমানের ফাঁসি না হওয়ায় বক্তারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমরা রাজপথ ছাড়ি নাই। ফাঁসির দাবিতে আমরা রাস্তায় নামতে সবসময় প্রস্তুত। শুধু নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। বক্তারা আরো বলেন, ইতিহাস আজ প্রমাণ করে যারা দম্বের কারণে মানুষ হত্যা করে, শেখ পরিবারকে শেষ করার চেষ্টা করে ও স্বাধীনতার শেষ ঠিকানাকে দাবিয়ে দিতে চেয়েছিল তারা আজ পরাজিত হয়েছে। সেই কারণে ১৪ বছর পর আমরা বিচার পেলাম। যেকোনো সময় কেন্দ্রের নির্দেশে ভোলা জেলা আ. লীগ সর্বদা প্রস্তুত আছে।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন লাভু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনূছ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক লেলিন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রুহুল আমিন কুট্টি, উপজেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজজুল ইসলাম, পৌড় আ. লীগের সভাপতি নজিবুল্লা নাজু, সম্পাদক আলী নেওয়াজ পলাশ, লিংকন কমিশনারসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগের নেতারা।