এ কোন ধরনের মাদক!

0
359

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেটঃ  আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে এ দেশে আসতে শুরু করে মাদক হেরোইন। এর অনেক আগে থেকে প্রচলন ছিল গাঁজার। হেরোইন আসার পর মাদকসেবীরা আসক্ত হতে থাকেন এতে। এরপর ৯০–এর দশকে ভারত থেকে আসা শুরু হয় ফেনসিডিল। ফেনসিডিলের রমরমা ব্যবসাকে ম্লান করে নতুন সহস্রাব্দের শুরুতে থাবা দেয় ‘ইয়াবা’। প্রায় দেড় দশক ধরে চলছে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে আসা ইয়াবা নামের ভয়ংকর এই মাদকের ব্যবসা। এবার নতুন আরেক ধরনের মাদক আসা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। সেবনের পর এটি মানবদেহে ইয়াবার মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তবে ফেনসিডিল-ইয়াবার মতো সীমান্ত পথে নয়, আকাশপথে এসেছে নতুন এই মাদক।

আজ শুক্রবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চার শ কেজি নতুন এই মাদকের চালান জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল।

বেলা তিনটার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদারের নেতৃত্বে এক অভিযানে বিমানবন্দরের কার্গো গুদাম এলাকা থেকে মাদকের এই চালান জব্দ করা হয়।

শুক্রবার বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে নতুন মাদক এনপিএস আটক করা হয়। ছবি: সংগৃহীতশুক্রবার বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে নতুন মাদক এনপিএস আটক করা হয়।

বিষয়টির সার্বিক তত্ত্বাবধানের ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) ডিআইজি মাসুম রব্বানী। এনপিএসের চালানটি কয়েক দিন আগে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া থেকে ঢাকায় বিমানবন্দরে এসেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সূত্রে বিপুল পরিমাণ নতুন মাদক নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) আসার খবর কয়েক দিন আগে পাওয়া যায়। এই তথ্য পেয়ে আজ দুপুরে বিমানবন্দরে অভিযান চালানো হয়।

তিনি বলেন, এনপিএস অনেকটা চায়ের পাতার গুঁড়োর মতো দেখতে। পানির সঙ্গে মিশিয়ে তরল করে এটি সেবন করা হয়। সেবনের পর মানবদেহে এক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করে। অনেকটা ইয়াবার মতো প্রতিক্রিয়া হয়। এক ধরনের গাছ থেকে এনপিএস তৈরি হয়ে থাকে। এটি ‘খ’ ক্যাটাগরির মাদক। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবার জিয়াদ মোহাম্মাদ ইউসুফ এনপিএসের চালানটি এ দেশে পাঠিয়েছেন। এ দেশে নওয়াহিন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে চালানটি পাঠানো হয়।

নজরুল ইসলাম শিকদার বলেন, এই মাদক ইয়াবার মতো কাজ করলেও গ্রিন টির মতো প্যাকেটে আনা হয়। বাংলাদেশে আবার নতুন করে প্যাকেট করে বাইরে চোরাচালান করে পাঠানো হয়। বাংলাদেশে বিক্রির পাশাপাশি পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জব্দ হওয়া এনপিএস সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানো হবে।

LEAVE A REPLY