ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ভোলার সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের তালুকদার বাড়ির বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্যের পরিবার চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সমাজে সংসারে সম্মান নিয়ে বসবাস করা তাঁদের দায় হয়ে পরেছে। ওই নির্যাতনকারীর নাম আব্দুর রহমান ও নাসিমা বেগম। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার একটি পত্রিকার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে সাবেক ইউপি সদস্যা এসব অভিযোগ করেন। তবে নাসিমা বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
লিখিত অভিযোগপত্র পাঠ করেন মোসা. জাহানারা বেগম। তিনি পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তিনি বলেন, তাঁর স্বামী টিএম সিরাজুল আলম ১৫ নম্বর দক্ষিণ চরপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁর দুই সন্তান ঢাকায় পড়ালেখা করে। বাড়িতে থাকে বড় ছেলে মো. রাসেল(৩২)। সে মানসিক প্রতিবন্ধী।
জাহানারা বেগম আরও বলেন, তিনি বাড়ির পাশে ২০০৭ সালে ৫ শতাংশ জমি কিনেছেন। জাহানারা বেগমের বাড়ির ওপর দিয়ে হাঁটাচলা নিয়ে প্রতিবেশী আবদুর রহমান ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগমের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বাড়ির নিরাপত্তার জন্য চারপাশে টিন দিয়ে বেড়া (সিমানা প্রাচীর) দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে আব্দুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী কারনে-অকারনে জাহানারা বেগমের পরিবারের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও নির্যাতন শুরু করে। আব্দুর রহমান তাঁর অনার্স পড়–য়া মেয়ে বাড়ি আসলে অশ্লীল ইঙ্গিত করে উত্যোক্ত করে। হামলা করে বেড়া ভেঙে দিয়েছে।
জাহানারা বেগম সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, তাঁদের বাড়ির পাশে মো. নাছিম বাঘার বাড়ির ফ্রিজে তিনি ও আবদুর রহমান গরুর গোসতের মাংস রাখেন। তিনি ওই গোসত আনতে গেলে নাছিম বাঘার স্ত্রী ভুলে আবদুর রহমানের গোসতের প্যাকেট বের করে দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবদুর রহমান ও তার স্ত্রী নাসিমা বেগম পথ-ঘাটে তাঁদেরকে চোর! চোর! বলে ক্ষেপাতে থাকে। চোর বলে অপবাদ দেয়। এ কারণে বকাঝকা করলে ২৫জুন সাবেক ইউপি সদস্যকে ও তাঁর মানষিক ভারসাম্যহীন ছেলে মো. রাসেলকে পিটিয়ে জখম করে। বসত ঘরে হামলা করে আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী। এখন আবার আব্দুর রহমানের মেয়ে মালাকে পিটিয়েছে বলে তাঁর স্বামী টিএম সিরাজুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রাচার চালাচ্ছে। তাঁর স্বামীর চাকরী থেকে অপসারণের জন্য নানা রকম অভিযোগ দিচ্ছে। এতে তাঁর পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে।
জাহানারা বেগম আরও বলেন, আবদুর রহমান ও তার স্ত্রীর নাসিমা বেগমের নির্যাতন, অত্যাচার-হামলার কারণে সমাজ-সংসারে বসবাস দায় হয়ে পরেছে। এ অবস্থার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের স্মরনাপন্ন হয়েছি।
আব্দুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, জাহানারা বেগমের অভিযোগ সত্য নয়। নাছিম বাঘার ফ্রিজ থেকে গোসতের প্যাকেট নেওয়ার পরে লোকমুখে ঘটনাটি জানাজানি হয়। জাহানারার ধারনা তাঁর মেয়ে ‘মালা’ ঘটনাটি প্রচার করেছে। মালা জাহানারার স্বামীর বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। এ অপরাধে জাহানারা বিদ্যালয়ে গিয়ে সকলের সামনে মালাকে মারধর করে। জাহানারার স্বামী টিএম সিরাজুল আলম মালাকে বিদ্যালয়ের কক্ষে আটকে রাখে। এ ঘটনা নাসিমা জেলা প্রশাসককে জানান।
তবে টিএম সিরাজুল আলম ও বিদ্যালয়ের ছাত্ররা বলেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী মালাকে মারপিট করেননি। বকাঝকা করেছেন।