বিশেষ প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে মেম্বার বাড়ি দরজায় অবৈধ গড়ে উঠা মিলে হলুদ-মরিচ ব্যবসায়ীদের চলছে মহা পরিকল্পনা। ইটের গুড়া, পচা চাউল, পচা ডাল শুধু তাই নয় হলুদ-মরিচের শুকনো গাছগুলো গুড়ো করে ভোলাসহ জেলার বাহিরেও বিক্রির জন্য তৈরি করছে শাহাবুউদ্দিন ও তার ছেলে ইমরান।যাহা সাস্থের জন্য চরম হুমকি হয়ে দাড়ায়।ভোলা সদর উপজেলায় এমন অবৈধ হলুদ-মরিচ গুড়ার ব্যবসায়ী শাহাবুউদ্দিন তার ছেলে এমরান এই সিন্ডিকেটের প্রধান।
ভোলা সদর উপজেলাতেই নয়, পুরো জেলা এমনকি জেলার বাহিরেও সাপ্লাই দিচ্ছে এদের ভেজাল সিন্ডিকেটের মালামাল।
অবৈধ হলুদ-মরিচের গুড়ার ভেজাল মিশানো ব্যবসায়ী শাহাবুউদ্দিন ও এমরানের কাছে জিম্মী ভোলার মানুষ।তার মিলের কোন সাইনবোর্ড নেই। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের আগেই এসব ব্যবসায়ী টের পেয়ে সরে যান।এসব ব্যবসায়ীরা মানুষের সামনেই অবৈধ কাজ করছে… এটা এখন ওপেন সিক্রেট।এ অবৈধ ব্যবসায়ীরা একদিকে মানুষের জীবন নাশের ক্ষতি করে, অন্যদিকে সরকারকে লাখ লাখ টাকা (টেক্স) ফাঁকি দিচ্ছে।
তবে এ অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন এখনও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।এই অবৈধ ব্যবসা ভোলার বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালের পূর্বপাশে আধা কিলোমিটার ভিতরে শিবপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডে শাহাবুউদ্দিনের নিজ বাড়ীর দরজায় মসজিদের পাশে গড়ে তুলেন।
অনুসন্ধানে গেলে দেখা যায়, লাইনে লাইনে রিক্সা দিয়ে পণ্য আসছে এবং আবার তা যাচ্ছে। এই অবৈধ ব্যবসায়ী শাহাবুউদ্দিন ও ইমরানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মানুষ যেগুলো ভেজাল করে নিয়ে আসেন সেগুলো সেভাবেই ভেঙ্গে দেই তবে আমাদের গুলো ভেজাল ছাড়াই বাজার জাত করার চেষ্টা করি।
তিনি আরও বলেন, মানুষে আমার কাছে ভেজাল সহ নিয়ে আসে, আমরা কি করবো? আমরা না ভাঙ্গাইলে আমাদের প্রতিষ্ঠান চলবে কেমনে।
ভোলা জেলা ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো: সুলাইমান বলেন, ভেজাল খাদ্যই বলেন আর ভেজাল পণ্যই বলেন, পণ্যে মোরক না দেয়া সবই একই অপরাধে অপরাধী।এ অপরাধে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদন্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। লোকবলের অভাবে আমরা সরাসরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারছি না। প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে আমাদেরকে জানালে তখন আমরা যাই। তবে এবার মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে খুব কড়া-কড়ি ভাবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানালেন ভোলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মো: মাহমুদুল হাসান।
হলুদ-মরিচে ভেজাল দেয়ার বিষয়ে ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রিয়াজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, হলুদ-মরিচের সাথে যাদি ক্যামিকেলসহ অন্য কোন পদার্থ কিংবা ভেজাল মিশানো হয়, তাহলে সেটা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর, এতে কোন সন্দেহ নাই। এতে আমাদের পাকস্থলি, খাদ্য নালি, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন সাইডে সমস্যা তৈরীর সাথে সাথে ক্যান্সার পর্যন্তও হতে পারে। আমরা সেনেটারী ইন্সপেক্টর দিয়ে হলুদ-মরিচের প্যাকেট এনে টেস্টের জন্য ল্যাবে পাঠাই। ভেজাল প্রমাণিত হলে সাথে সাথে মামলা দিয়ে দেই। তার সাথে কোন আপোষ করি না।এব্যাপারে ভোলার প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনিয়ম-অন্যায়ের সাথে কখনোই আপোষ করবো না। আমরা মোবাইল কোটের মাধ্যমে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেব।