ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ।। এবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসুবকের প্রায় ৬০ কোটি ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ উঠেছে সংস্থাটির বিরুদ্ধে। এদিকে অভিযোগ স্বীকার করে বিষয়টি ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিটি গ্রাহককে তা জানানো হবে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।
ফেসবুকের প্রতিটি পাসওয়ার্ডই সাংকেতিকভাবে থাকার কথা। যেন কোনো ভাবেই কারো নজরে না আসে। অভিযোগ উঠেছে, সাংকেতিকভাবে না থেকে তা রয়েছে টেক্সট হিসেবে।
ফলে তা সহজেই ফেসবুক কর্মীদের হাতের মুঠোয় এসে যাচ্ছে। এর মধ্যে ফেসবুক ছাড়াও রয়েছে ফেসবুক লাইট, ইনস্টাগ্রামের পাসওয়ার্ড।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিয়মমাফিক সুরক্ষা পর্যালোচনার সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দেখেন, সংস্থার ইন্টারনাল স্টোরেজ সিস্টেমে কোটি কোটি ইউজারের পাসওয়ার্ড সহজেই দেখা যাচ্ছে। সার্ভারে তা সাংকেতিকভাবে জমা থাকার কথা থাকলেও দেখা গেছে, তা রয়েছে সাধারণ টেক্সট হিসেবে।
ফলে তা সহজেই পড়া যাচ্ছে।
সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং, সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কানাহটি বলেন, আমাদের লগইন সিস্টেম এমনভাবে ডিজাইন করা, যেন তা প্রতিটি পাসওয়ার্ডকে ঢেকে রাখা যায়। ফলে তা কোনো ভাবেই পড়া যায় না। সাধারণ টেক্সট হিসেবে পাসওয়ার্ডগুলো দেখা যেতেই নড়েচড়ে বসেন তারা।
ব্রায়ান ক্রেগ নামে সাইবার সুরক্ষা বিষয়ক মার্কিন এক সাংবাদিক তার ব্লগে দাবি করেন, ২০১২ সাল থেকে এভাবেই কোটি কোটি পাসওয়ার্ড জমা হচ্ছে ফেসবুকের ইন্টারনাল সার্ভারে। সংস্থার প্রায় ২০ হাজার কর্মী তা সহজেই দেখতে পারছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেসবুকের এক কর্মী তাকে জানিয়েছেন, ফেসবুক কর্মীরা এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন যা দিয়ে ইন্টারনাল সার্ভারে ওই আনক্রিপটেড পাসওয়ার্ডগুলো সাধারণ টেক্সট হিসেবে জমা করা যায়। এর পরই সুরক্ষার ব্যর্থতা নিয়ে একাধিক অন্তর্তদন্ত শুরু করে ফেসবুক।
তবে পুরো বিষয়টি সামলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পেদ্রো। তার কথায়, এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যাতে দেখা গেছে, ওই ডেটাগুলোর অপব্যবহার হয়েছে।
সংস্থার বাইরে অন্য কেউ ওই পাসওয়ার্ডগুলো দেখেননি বলেও দাবি তার। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কোটি কোটি ফেসবুক, ফেসবুক লাইট ও ইনস্টাগ্রাম ইউজারদের এ বিষয়টি জানানো হবে।